নদী থেকে পিলারে বাঁধা মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার


প্রকাশিত: ১১:২৮ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫

বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের কাটা গাং নদী থেকে পাকা পিলারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় একটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে জেলেরা। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে, এলাকাবাসীরা ধারণা করছেন কবর থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়া নিহত আব্দুল মনাফের কঙ্কাল হতে পারে এটি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মাছ ধরতে জেলেরা নদীতে জাল ফেললে জালের মধ্যে একটি পাকা পিলারের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশের কঙ্কাল দেখতে পান। এরপর লাশটি তারা নদীর তীরে রাখলে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। লাশটি দেখতে নদীর পাড়ে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। কঙ্কালের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ময়নাতদন্ত করা কোনো মানুষের লাশ।

তবে এলাকাবাসীর ধারণা নদীর পার্শ্ববর্তী হরিপুর গ্রামের নিহত আব্দুল মানাফের লাশ কবর থেকে গুম করে নদীতেই ফেলা হয়েছে। আর এই লাশটিও মনাফের হতে পারে। বিশ্বনাথ থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত জবান আলীর পুত্র আব্দুল মনাফ (৫৫) চলতি বছরের ১৬ মে বিকেল থেকে ‘নিখোঁজ’ হন। এরপর ১৮ মে সন্ধ্যায় বাদীর বসত ঘরের সম্মুখের গোয়াল ঘর থেকে ঘরের পিলারের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গত ১৯ মে লাশ দাফন করা হয়।

আব্দুল মনাফকে হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে মনাফের ভাই আব্দুল হাশিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদী লাশটি পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করলে লাশ দাফনের দুই মাস ১৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য গত ৪ আগস্ট সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুহেল মাহমুদ ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমানের উপস্থিতিতে নিহত মনাফের কবর খোঁড়া হয়।

কবর খোঁড়ার পর কবরে লাশের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কবরে লাশের পরিবর্তে পাওয়া যায় কাফনের কাপড়, নীল রংয়ের পলিথিন ও প্লাস্টিকের সুতলি।

গত ১০ আগস্ট সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ নজরুল ইসলাম আসামি উস্তার আলী ও তার ছেলে মিন্টু মিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামি টিটু মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তিনজন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।