গণতন্ত্রের দরজা সব সময় খোলা থাকবে : ইনু


প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে সব সময়ই গণতন্ত্রের দরজা খোলা থাকবে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণতন্ত্র হলো একটি ঘর। এই ঘরের দরজা-জানালা দিয়ে বাতাস আসে আবার পোকা-মাকড়ও আসে। জানালা দিয়ে যাতে পোকা-মাকড় আসতে না পারে তার জন্য কাজ চলছে। তবে গণতন্ত্রের দরজা সব সময়ই খোলা থাকবে।

বুধবার রাতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর ম্যাস কমিউনিকেমন ও মিডিয়া আর্টস বিভাগ ও এআইইউবি বিতর্ক সংগঠন অরটরি ক্লাব আয়োজিত মিডিয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইনু বলেন, আমি নিরপেক্ষ নই। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। গণতন্ত্রের পক্ষে। সমাজতন্ত্রের পক্ষে। আমার পক্ষপাতিত্ব নিয়েই আপনাদের আমার কথাগুলো শুনতে হবে। সব রাজনীতিবিদ সব সমস্যার সমাধান দিতে পারেন না। তবে যে রাষ্ট্রনায়ক ইতিহাসের বাকে দাঁড়িয়ে জাতিকে রাস্তা দেখান তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন। যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইতিহাসের বাকে দাঁড়িয়ে জাতিকে স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছেন। দুই শত বছর পরেও এই দেশ থাকলে জাতি তাকে স্মরণ করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুদ্ধের ময়দান থেকে এসেছি। অনুুষ্ঠান শেষে আবার যুদ্ধের ময়দানে ফিরে যাবো। এ যুদ্ধ হচ্ছে দেশকে দারিদ্র মুক্ত করা, জেন্ডার বৈষম্য দূর করা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির হাত থেকে দেশেকে রক্ষা করা ও দেশকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করা। উপস্থিত সবাইকে এ যুদ্ধে শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

গণমাধ্যম সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতির চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে গণমাধ্যম। রাষ্ট্রের বাকি তিনটি স্তম্ভ যদি দায়িত্বশীল হয়, আইন দ্বারা পরিচালিত হয় তাহলে গণমাধ্যম কেন আইন দ্বারা পরিচালিত হবে না। রাষ্ট্র ধরেই নেয় মানুষ আইন অমান্য করে চলবে। যে কারণে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে কিছু আইন করা হচ্ছে। প্রিন্ট মিডিয়া নিন্ত্রয়ণ করার জন্য ৭৩/৭৪ পাবলিক অ্যাক্ট রয়েছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া তো এই আইন দিয়ে চলতে পারে না। সে কারণে আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও ব্ক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. চার্লস সি ভিলোনোভা, কমিউনিকেমন ও মিডিয়া আর্টস বিভাগের উপদেষ্টা ড. এজেএম শফিউল আলম ভূইয়া। পরে চ্যাম্পিয়ন এনটিবি ও রানার আপ সময় টিভির বিতার্কিকদের মাঝে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিতার্কিক যারা বর্তমানে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত তাদের নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে এনটিভি, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর, চ্যানেল আই, এটিএন নিউজ, যমুনা টিভি, সময় টিভি, এসএ টিভি ও রেডিও ধনিতে কর্মরত সাবেক বিতার্কিকদের সমন্বয়ে ১১টি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।  গত ২০ নভেম্বর থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আজ রাতে ফাইনাল রাউন্ড ছিলো।

এনএম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।