১০ উইকেটে সিলেটকে হারাল চিটাগাং


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫

মহাবিপর্যয়ের পর আফ্রিদি ঝড়ে ১৩৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও জিততে পারলো না সিলেট সুপার স্টারস। ঘরের মাঠে চিটাগাং ভাইকিংসেরই যে দিন আজ! দুই ওপেনারের হাতেই লেখা হয়ে গেলো ম্যাচের ভাগ্য। তিলকারত্নে দিলশান আর তামিম ইকবালের ব্যাটে ভর করেই সিলেট সুপার স্টারসকে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল চিটাগাং ভাইকিংস।

জয়ের জন্য ১৪০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিলশান-তামিম জুটিই একাধিপত্য বিস্তার করে সিলেটের বোলারদের ওপর। এই জুটিতে ভাঙন ধরানোর জন্য সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৭জন বোলার ব্যবহার করেও সফল হতে পারেননি। উল্টো সিলেটের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে দু’জন মিলে ১০.৫ ওভারেই চিটাগাংয়ের রান ১০০ পার করে দেন।

দিলশান আর তামিম মিলে শেষ পর্যন্ত থেকে যান অবিচ্ছিন্ন। ১৬.১ ওভারেই দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তারা দু’জন। দু’জনই অপরাজিত থাকেন সমান ৬৭ রান করে। তামিম ৫১ বলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৬৭ রান। আর দিলশান ৪৬ বল খেলে ৬টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় করেন ৬৭ রান।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি পেয়েছিল সিলেট সুপার স্টারস। আর সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষেই প্রথম পর্বে নিজেদের একমাত্র জয়টি পেয়েছিল চিটাগাং ভাইকিংস। দু’দলেরই মাত্র একটি করে জয়। দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে শুরুটা ভালোই ছিল চিটাগাংয়ের।

কিন্তু মাঝে আফ্রিদির দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি সিলেটকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। এবারের বিপিএলে প্রথম খেলতে নামা বুম বুম আফ্রিদি খেলেন ৪১ বলে ৬২ বলের দুরন্ত এক ইনিংস। তাতেই ১৩৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তোলে সিলেট।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।