পরিবারের ব্যয় বহন করা ওয়াজিব
মানুষের পরিবার ও পারিবারিক জীবন হচ্ছে সমাজ জীবনের ভিত্তি প্রস্তর। যা একজন পুরুষ ও একজন নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যুগল থেকেই বাড়তে থাকে পরিবারের সদস্য সংখ্যা। এক সময় স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি, পিতা-মাতা, ভাই-বোনের কোলাহলে গঠিত হয় আদর্শ পরিবার। এ পরিবারের জীবন-জীবিকার দায়িত্ব পালন করা কর্তা ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব। যা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস থেকে প্রমাণিত-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘উত্তম সাদকা হলো যা দান করার পর মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে। উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে আছে তাদের আগে দাও। (কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক্ব দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে আমাকে খাবার দাও। আমাকে তুমি কার কাছে ছেড়ে যাচ্ছ? লোকেরা জিজ্ঞাস করল হে আবু হুরায়রা! আপনি কি এ হাদিস রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছেন? তিনি উত্তরে বলবেন, এটি আবু হুরায়রার থলে থেকে (পাওয়া) নয়, (বরং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে)। (বুখারি)
একই রাবি থেকে অন্য একটি হাদিস-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, উত্তম দান তা-ই যা দিয়ে মানুষ অভাবমুক্ত থাকে। যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে তাদের থেকে শুরু কর। (বুখারি)
হাদিসের শিক্ষা-
০১. সর্বপ্রথম পরিবার-পরিজনের চাহিদা মেটানো। যাতে তারা সর্বদা অভাবমুক্ত থাকে। যা কর্তা ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব।
০২. মৃত্যুর সময় ওয়ারিশদেরকে স্বচ্চল অবস্থায় রেখে যাওয়া। যাতে করে অভিভাবকের মৃত্যুর পর কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়।
০৩. প্রত্যেক দানই সাদকার ছাওয়াব লাভ হয়। সুতরাং সাদকা তথা দান-অনুদান প্রদান করা সুন্নাত।
০৪. সর্বোত্তম দান হচ্ছে, যে পরিমান সম্পদ দান করলে মানুষ অভাবমুক্ত হয়। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বনি আদমকে উক্ত হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। কুরআন ও হাদিসভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : [email protected]
জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।
এমএমএস/পিআর