নিজামীর আইনজীবীর দোষ স্বীকার : সাজা কমানোর দাবি


প্রকাশিত: ০৭:৩১ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০১৫

নিজামীর প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, অনেক চার্জ আছে যাতে উনার খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তার পরেও যদি কোন চার্জে তাকে দণ্ড দেয়া হয় তাহলেও আদালত চরমদণ্ড দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করিনা। নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করার পরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।  

তিনি বলেন, আমাদের মুল বক্তব্য জামায়াতে ইসলামী এবং এর সদস্য হিসেবে তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের অখন্ডতা বিশ্বাস করতেন। সেই বিশ্বাস থেকে পাকিস্তান বাহিনী যারা এখানে ছিলেন তাদেরকে তারা নৈতিক সাপোর্ট দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু নিজামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিলো যেসব অভিযোগ হলো সেখানে নির্দিষ্ট ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে খুন ধর্ষণ এবং লুণ্ঠন।

মাহবুব হোসেন বলেন, বিশেষ করে চারটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেখানে প্যাসিফিক অকারেন্স দেয়া আছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বলেছি এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে এই মামলায় যারা স্বাক্ষ্য দিয়েছে তাদেরকে দীর্ঘদিন ধরে সেফ হোমে রেখে প্রসিকিউশন প্রসিকিউশন না করে তাদের সাজা কিভাবে হয় পার্সিসিকিউশন করার জন্য সাক্ষীদের টুইট করেছে আদালতে কি বলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এ কারণে যারা তদন্ত কর্মকর্তা তাদের কাছে এ সাক্ষীরা যে রকম বক্তব্য দিয়েছেন আর আদালতে এসে ভিন্নভাবে কথা বলেছেন। এ থেকে প্রমাণ হবে প্রসিকিউশন আসামিকে সাজা দেয়ার উদ্দেশ্যে তাদেরকে শিখিয়ে পড়িয়ে ভয় দেখিয়ে আদালতে উপস্থাপন করেছেন। তারপরেও তখনকার বাংলাদেশটা পাকিস্তান আর্মির অধীনে ছিলো। দেশে ভয়াবহ আর্মি আতংক ছিল। সে আতংকের সময় নিজামী সাহেব ১৯/ ২০ বছরের এক ধারণ ছাত্র ছিলেন। ওই সময় প্রতাপশালী আর্মিকে সহযোগিতা করা বা তাদেরকে বলা এটা করো ওটা করো পথ দেখিয়ে দেয়া এই ক্ষমতা কমান্ড রেন্সপন্সিবিলিটি তার ছিলনা। তারপরও আমরা দেখেছি চারটা চার্জে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।   

এফএইচ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।