ঘুরতে বেরিয়ে বৃষ্টির বিড়ম্বনায়
ঈদের পরের দিন শনিবার (১৫ মে) বিকেল থেকে রাজধানীতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ঘুরতে বেরিয়ে দারুণ বিড়ম্বনায় পড়েছে মানুষ। বিকেলের প্রথম অংশেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি দর্শনার্থীদের অনেকে। বিভিন্ন স্থানে আটকে থাকতে হয় তাদের।
অনেকে আবার কাকভেজা হয়েই ঘুরে বেড়িয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিপদে ছিলেন শিশুসহ পরিবার নিয়ে বের হয়েছেন যারা।
করোনার বিধিনিষেধে বন্ধ প্রায় সব বিনোদনকেন্দ্র, এই সুযোগে রাজধানীর অন্যতম বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠেছে উন্মুক্ত হাতিরঝিল। শুক্রবার ঈদের দিনে সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী ছিল এ হাতিরঝিলে। পরের দিন (শনিবার) অনেকে সেখানে আসতে পারেনি। বৃষ্টির সময় হাতিরঝিল ছিল ফাঁকা। তবে অনেক মানুষকে হাতিরঝিলের প্রবেশের এলাকায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোদ ও গরমে দর্শনার্থী কিছুটা কম থাকলেও বিকেলে রোদের তীব্রতা কমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়তে থাকে হাতিরঝিলে দর্শনার্থীর ভিড়। তবে মাঝ বিকেলে বৃষ্টির পূর্বাভাসে অনেকে ফিরে গেছেন।
করোনা মহামারির বিস্তার রোধে ঈদ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ রাজধানীর বিনোদন-কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। পরিবার-পরিজনকে সঙ্গে বাসায় ঈদের আনন্দ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সরকার। তারপরও যারা বের হচ্ছেন তাদের ভরসা উন্মুক্ত হাতিরঝিল বা চন্দ্রিমা উদ্যানের মতো স্থানগুলো। তবে বৃষ্টির বিড়ম্বনা এসব উন্মুক্ত জায়গায় আরও বেশি।
বিশেষ করে শুক্রবার ঈদের দিনে হাতিরঝিলে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ওই দিন নগরীর অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দুপুরের পর থেকেই স্রোতের মতো মানুষ আসতে থাকে। অনেকে সূর্যের প্রখর তাপ উপেক্ষা করেও ঘোরাঘুরি করেছেন। আর সন্ধ্যার পরে হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমী মানুষ ছুটে আসেন সেখানে। রাতেও আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকেন বিনোদনপ্রেমী নগরবাসী। মাঝরাত পর্যন্ত সেখানে আড্ডা ও গল্প করতে দেখা যায় মানুষকে।
শনিবার মোহাম্মদপুর থেকে সেখানে আসা তরুণ প্রজন্মের দর্শনার্থী শান্ত বলেন, বাইক নিয়ে চার বন্ধু এসেছি। করোনায় সব বন্ধ। কিন্তু বৃষ্টি সব মজা শেষ করে দিয়েছে।
তরুণরা শুধু নয়, দীর্ঘ এক মাস রোজা আর করোনায় ঘরে থাকার পর ঈদের পরে শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন মিরপুরের মুশফিকুর রহমানের পরিবার। তার পরিবারের সব বয়সী মিলে আটজন এসেছেন ঘুরতে। মুশফিকুর বলেন, আধাঘণ্টা বৃষ্টির কারণে দাঁড়িয়ে আছি। বাচ্চাগুলোর মন খুব খারাপ।
হাতিরঝিলের নিরাপত্তাকর্মী শাহেদ মিয়া বলেন, ঈদের দিনের মতো প্রচুর মানুষ আসছে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে মানুষজন ফিরে গেছে।
এনএইচ/এআরএ/জিকেএস