বিক্রি হবে চিড়িয়াখানার হরিণ-ময়ূর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ১৫ মে ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। ফলে প্রায় পাঁচ মাস চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে বেড়ে উঠেছে সব প্রাণি। এতে চিড়িয়াখানার প্রাণিকূলের প্রজনন ক্ষমতাও বেড়েছে।

ফলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত প্রাণি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে প্রথমে হরিণ ও নীল ময়ূর বিক্রি করবে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাঁচ মাস দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকায় প্রাণিকুলকে কেউ বিরক্ত করছে না। তারা নিজেদের মতো করে খাবার খেয়ে আরাম-আয়েশে সঙ্গীদের নিয়ে দিন পার করছে। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সব প্রাণির প্রজনন বেড়েছে।

deer-2.jpg

জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মা হরিণগুলো অনেক বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। সেগুলো এখন বেশ বড় হয়েছে। সবমিলিয়ে চিড়িয়াখানার তিনটি শেডে বর্তমানে ৩১৮টি হরিণ রয়েছে। শেডগুলো অসমতল হওয়ায় ধারণ ক্ষমতা কম। চিড়িয়াখানার এসব শেডে সর্বসাকুল্যে ৩০০ হরিণের অবাধ বিচরণের সুযোগ রয়েছে। অথচ এখন হরিণের সংখ্যা ৩১৮টি। এ জন্য কিছু হরিণ দ্রুত বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্রির জন্য নির্ধারিত হরিণ শাবকগুলোর সরকারি মূল্য প্রতিটি ৭০ হাজার টাকা। তবে এই মূল্য আরও কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। যেহেতু হরিণের নিয়মিত প্রজনন হচ্ছে, তাই এখন প্রতিমাসে অন্তত ২০টি হরিণ শাবক বিক্রি করতে পারবে তারা।

deer-2.jpg

অন্যদিকে চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৭৮টি নীল ময়ূর রয়েছে। এসব ময়ূর বিক্রি করা হবে। নীল ময়ূরের জন্য পর্যাপ্ত স্থান থাকলেও বিরল প্রজাতির পাখি হওয়ায় এগুলো বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এই পাখির বিচরণ বাড়বে। মানুষ নীল ময়ূর সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব খাতে আয়ও বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এক জোড়া নীল ময়ূর ৫০ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতিটি ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

জানতে চাইলে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় চিড়িয়াখানা মূলত দেশ-বিদেশের প্রাণি প্রর্দশনের স্থান, এটি খামার নয়। ফলে অতিরিক্ত পশু-পাখি বিক্রি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকায় সব প্রাণির প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে। পশু-পাখি নিয়মিত বাচ্চা দিচ্ছে। এ কারণে প্রথম ধাপে হরিণ ও নীল ময়ূর বিক্রি করা হবে।

deer-2.jpg

তিনি বলেন, অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৪০-৫০ হাজার টাকায় হরিণ বিক্রি করছে। এ কারণে সরকারি মূল্য ৭০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার বা তার কম মূল্যে বিক্রি করার অনুমোদন পেতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে দাম কমানোর প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ার আগ পর্যন্ত হরিণ ৭০ হাজার টাকা এবং প্রতিটি ময়ূর ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হবে।

এমএইচএম/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।