ঈদের দিনও গ্রামে ছুটছে মানুষ, গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া
অডিও শুনুন
এক মাস রোজা শেষে আজ ঈদ উদযাপন করছে দেশবাসী। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে অনেকেই লকডাউন উপেক্ষা করে গ্রামে ছুটে গেছেন। তবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা করাণে এখনও অনেকে গ্রামে যেতে পারেননি। তাই পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের দিনও গ্রামের উদ্দেশ্যে পথে নেমেছেন অনেকে।
শুক্রবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, অনেকেই টার্মিনালে আসছেন। এখান থেকে কেউ পাটুরিয়া ফেরিঘাট, কেউ টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া, নাগপুর পর্যন্ত বাসে যেতে পারছেন। অনেকে উত্তরবঙ্গের গাড়ি না পেয়ে সাভার পর্যন্ত বাসে যাচ্ছেন।
এছাড়া উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের যাত্রীরাও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে যেতে পারছেন। হায়েস ও প্রাইভেটকারের মতো গাড়িতে করে যাচ্ছেন তারা। তবে সব শ্রেণির যাত্রীকেই গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সেই সঙ্গে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
সরেজমিন দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দুই সিটে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বসুমতি পরিবহন। ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ। ২০০ টাকা করে জনপ্রতি নিচ্ছে তারা।
গাবতলী থেকে পাটুটিয়া ফেরিঘাটে প্রাইভেটকার জনপ্রতি নিচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে। গাবতলী বাস টার্মনাল থেকে টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া, নাগপুরের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে এসবি লিংক পরিবহন। তারা জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ২০০ টাকা।
যাত্রীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে পাকুটিয়া পর্যন্ত ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে ভাড়া নেয় এসবি লিংক। আজ তারা ২০০ টাকা করে নিচ্ছে।
গাবতলী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রাইভেটকার ও হায়েস গাড়িও ছেড়ে যাচ্ছে। এখান থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে হায়েস। বনপাড়া পর্যন্ত নিচ্ছে ১২০০ টাকা করে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, বগুড়াসহ দেশের উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে প্রাইভেটকার ও হায়েস গাড়ি যাত্রী নিয়ে ছুটছে।
পরিবার নিয়ে টাঙ্গাইল যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন মো. আসাদুল। এখান থেকে টাঙ্গাইলের পাকুটিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এসবি লিংক পরিবহন।
আসাদুল জাগো নিউজকে জানান, ঢাকায় তাদের একটি কসমেটিকের দোকান আছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তারা দোকান খোলা রেখেছেন। তাই আজ ঈদের দিন গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
মো. শফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জাগো নিউজকে জানান, তিনি চিল্লায় ছিলেন। গতকাল তার চিল্লা শেষ হয়েছে। তাই তিনি সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, বাস চলছে না। তার পক্ষে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরছেন।
পিডি/এমএসএইচ/এমকেএইচ