‘ঘরমুখো মানুষ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা তৈরি করছে’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ১১ মে ২০২১

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, ‘ঈদে যেভাবে মানুষ বাড়ি ফিরছে, তাতে দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আমরা নিজেদের সর্বনাশ নিজেরা ডেকে আনলে, করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।’

তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে জনসমাগম ও মানুষের চলাচল যেভাবে বেড়েছে, তাতে আমরা শঙ্কিত। যে মানুষগুলো বাড়ি ফিরছে, তারা যখন ঢাকায় ফিরবে তখন করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’

মঙ্গলবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় জরুরি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সারাদেশের কোভিড হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ বেড খালি। শনাক্ত ও মৃত্যুর হারও কমেছে। দেশে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে সাড়ে ১২ হাজারেরও মতো করোনা ডেডিকেটেড বিছানা রয়েছে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ আছে। হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলার পর্যাপ্ত মজুত আছে।

মহাপরিচালক বলেন, ভারতে যে সংক্রমণ হয়েছে, তার ভয়াবহতা আপনারা দেখেছেন। করোনা পৃথিবী থেকে কবে যাবে, তা কেউ বলতে পারে না। ফলে যতোদিন করোনা থাকবে ততোদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

ডা. খুরশীদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগেও বলেছেন, বাড়িতে থাকুন, বাড়ি থেকে আপনারা ঈদ করুন। যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকুন। জায়গা বদল করবেন না। প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বান যদি আমরা না মেনে চলি, তাহলে আমাদের রক্ষা করবে কে? আপনারা দয়া করে করে, বিনীত অনুরোধ করছি, আপনাদের এই যে চলাচল, জনসমাগম বন্ধ না হলে করোনার সংক্রমণ শেষ হবে না। তাই নিজে সচেতন হোন ও অন্যকেও সচেতন করুন।

ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুই অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা (প্রশাসন) ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।