চট্টগ্রামে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেলো সিলেট
অবশেষে চট্টগ্রামে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট সুপারস্টার্স। চিটাগাং ভাইকিংসের জন্য চট্টগ্রামের মাঠ সৌভাগ্য বয়ে না আনলেও সিলেট সুপারস্টার্সের কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দিলো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই লাকি গ্রাউন্ড। এদিন রবি বোপারার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয় পেয়েছে মুশফিকবাহিনী।
বল হাতে সাফল্য পেলেও আগের তিনটি ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন রবি বোপারা। তবে চট্টগ্রামের মাঠে এদিন জ্বলে ওঠেন তিনি। বোলিং করে মাত্র ১৮ রানে চার উইকেট তুলে নেবার পর ব্যাট হাতে ৫০ রান করেন এই ইংলিশ।
কুমিল্লার দেয়া ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে সিলেট সুপারস্টার্স। মুনাবীরার সঙ্গে এদিন ওপেনিংয়ে নেমে দলের হয়ে ৩২ রান করলেও ব্যক্তিগতভাবে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন মুমিনুল (৯)। তবে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে ২৬ বলে ৩৬ রান করেন মুনাবীরা। তার ইনিংসটি ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা দিয়ে সাজানো।
মুনাবীরার বিদায়ের পর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বোপারা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৭ রান করে প্রথম জয়ের ভিত করে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মুশফিকুরকে ফিরিয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন নুয়ান কুলাসেকেরা। ৩১ বল মোকাবেলা করে ৪টি চারের সাহায্যে ৪৭ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
মুশফিকের বিদায়ের পর ৬ বলে ১৩ রান করে আউট হন পাকিস্তান থেকে উড়ে আসা হাম্মাদ আজম। তবে শেষ ওভারে বোপারা এবং শিহান জয়সুরিয়াকে ফিরিয়ে দারুণভাবে খেলা জমিয়ে তোলেন আবু হায়দার রনি। তবে ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান নাজমুল হোসেন মিলন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন রবি বোপারা। ৩৮ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে ২৮ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার আবু হায়দার। কুলাসেকেরা ২৮ রানে পান ২টি উইকেট।
এর আগে সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রানের সংগ্রহ এনে দেন দলকে। মাত্র ২৪ বলে ৪২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে বোপারার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন। ৬টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর দলীয় ২০ রান তুলতেই দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কুমিল্লা। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসহার জাইদিকে নিয়ে সে চাপ সামলে নেন ইমরুল। ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান এই দুই ব্যাটসম্যান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন আসহার জাইদি। ৩৬ বলে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করেন এই আফগানি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে ইমরুলের ব্যাট থেকে। ৪৫ বলে ১টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রান করেন এই ওপেনার।
সিলেটের পক্ষে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রবি বোপারা। ম্যাচসেরাও হন এই ইংলিশ।
আরটি/বিএ