পলাতক খোকনের রায় বৃহস্পতিবার
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে পলাতক ফরিদপুরের জাহিদ হোসেন খোকনের রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করবেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৭ এপ্রিল মামলার রায় অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
জাহিদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরিতকরণসহ ১১টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর খোকনের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তার মামলায় সাক্ষী গ্রহণ শুরু হয়।
২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। খোকনের বিরুদ্ধে ১৬ জন নারী ও শিশুসহ ৫০ জনকে হত্যা, তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ৯ জনকে ধর্মান্তরিত করা, ২টি মন্দিরসহ ১০টি গ্রামের বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, সাতজন গ্রামবাসীকে সপরিবারে দেশান্তরে বাধ্য করা ও ২৫ জনকে নির্যাতনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ আনা হয়।
পালাতক খোকনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে হাজির করতে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠ ও ডেইলি স্টারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় ওই বছরের ১৪ আগস্ট তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। একইদিনে ১৪ আগস্ট খোকনের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন আব্দুস শুকুর খানকে।
২০১৩ সালের ২৩ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দখিল করার পর ১৮ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল শুরু হয়ে ২০১৩ সালের ২৮ মে শেষ হয় তদন্ত কাজ। পরে ২৯ মে ১৩টি অভিযোগসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।
গত বছরের ৯ অক্টোবর ১১টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে খোকনের বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। বিচার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন তিনি।