৯০ দিনের মধ্যে হচ্ছে না সিলেট-৩ আসনের নির্বাচন
কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিলেট-৩ আসনে তা হচ্ছে না।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ওই ৯০ দিন ছাড়াও দৈব-দুর্বিপাকের কারণে আরও ৯০ দিন পেছাতে পারে এই আসনের নির্বাচন। আগামী ৮ জুনের মধ্যে না হয়ে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নির্বাচনও একই কারণে পিছিয়ে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিন সময় নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার বলেন, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে, আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। এক্ষেত্রে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয় গত ১১ মার্চ। অর্থাৎ, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৮ জুনের মধ্যে ভোট করার বিধান রয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারিকে ‘দৈব-দুর্বিপাক’ দেখিয়ে এ নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরও ৯০ দিন সময় নিলেন, যে এখতিয়ার সংবিধানেই দেয়া আছে।’
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে তা মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী মূখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনটি গত ১১ মার্চ শূন্য হওয়ায় বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী উক্ত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪)- এর শর্তানুসারে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদ অর্থাৎ, শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উল্লিখিত আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ শূন্য আসনের নির্বাচন নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অনুষ্ঠান সম্ভব না হওয়ায় পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১১ মার্চ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নবম ও দশম সংসদেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সিলেট-৩ আসনটি দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত।
এইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ