মানিকনগরে ১১ মাসে ১২ বাল্যবিয়ে


প্রকাশিত: ০২:৫৩ এএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৫
প্রতীকী ছবি

ঈশ্বরদীতে বাল্যবিয়ের প্রবণতা বাড়ছে। উপজেলার মানিকনগর গ্রামে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ১২টি বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে। যাদের অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাল্যবিয়ের শিকার অধিকাংশের পরিবারই দরিদ্র। এদের মধ্যে রয়েছে সপ্তম শ্রেণির যুথি আক্তার, রুমি খাতুন, শিলা খাতুন। অষ্টম শ্রেণির শিরিনা খাতুন। নবম শ্রেণির কবিতা খাতুন, নাঈমা খাতুন, রিতু খাতুন, বন্যা খাতুন, লাবনী খাতুন, অ্যানি খাতুন, কুয়াশা খাতুন। দশম শ্রেণির চামেলী খাতুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মানিকনগর স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, মানিকনগর গ্রামে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে কেউ সচেতন নয়। অভিভাবকরা অনেকটা না জেনেই এসব বিয়ে দিচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষকরাও এসব বিয়ে সম্পর্কে জানেন না, তাদের অজ্ঞাতসারেই এ ধরনের বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটছে।

একাধিক শিক্ষক বলেন, রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞাও মানা হচ্ছে না। তারা বলেন, বাল্যবিয়ের জন্য রেজিস্ট্রার, এলাকার মসজিদ-মাদরাসার ইমাম ও শিক্ষকদের নেতিবাচক ভূমিকা দায়ী।

প্রধান শিক্ষক নুর তরিকুল ইসলাম দাওয়াত প্রসঙ্গে বলেন, বাল্যবিয়ে আমি সমর্থন করি না। সুতরাং দাওয়াত গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।

ছলিমপুর ইউনিয়নের বিয়ে রেজিস্ট্রার আবুল জলিলের নিয়োগকৃত সহকারী কাজী শাহাদত হোসেন বাল্যবিয়ে সম্পর্কে বলেন, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের বিয়ে তিনি রেজিস্ট্রি করেন না। তাহলে কিভাবে এসব বিয়ে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিয়ে রেজিস্ট্রি না করলেও মৌলভীরা ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিয়ে পড়ান এবং পরে ঈশ্বরদীর বাইরে কোনো রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। তবে এ ধরনের বিয়ের ব্যাপারে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপ থাকে। ফলে বাল্যবিয়ে বন্ধ হচ্ছে না।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।