নাটোরে বুড়া চৌধুরীকে মনোনয়নের সুপারিশ, যুবলীগ নেতার প্রতিবাদ
নাটোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাজেদুল আলম খান বুড়া চৌধুরীকে একক প্রার্থী হিসেবে তালিকা প্রস্তুত করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
নাটোর সদর আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, শনিবার নাটোর সার্কিট হাউজে সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে মেয়র পদে বুড়া চৌধুরী এবং কাউন্সিলর পদে ১২টি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ স্ব স্ব ইউনিট নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত মনোনয়ন তালিকা রোববার সন্ধায় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে নাটোর পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাজেদুল আলম খান চৌধুরীকে বুড়াকে মনোনয়ন দিয়ে দলের সভানেত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া।
রোববার সন্ধ্যায় শহরের কানাইখালীতে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের তৃণমূল ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন যাচাই করে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান এহিয়া। তিনি বলেন, দলের সব নেতার মতামত না নিয়ে স্থানীয় এমপি নিজের দুলাভাইকে মেয়র মনোনয়ন দিয়েছেন। এখানে দলের নেতৃবৃন্দকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সভায় ডাকা পর্যন্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বুড়া চৌধুরী গত নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে নিজেই হারেন দলীয় প্রার্থীকেও হারান। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আত্মীয় হওয়ায় তাকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বুড়া চৌধুরী দলের কোনো কর্মকাণ্ডে থাকেন না কিন্তু আমি সব সময় দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে দীর্ঘদিন থেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে কাজ করছি।
এর আগে, শনিবার রাতে নাটোর সার্কিট হাউজে এক সভা থেকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে বুড়া চৌধুরীকে মনোনয়ন সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠান এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল।
শফিকুল ইসলাম শিমুল তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, সংশ্লিষ্ট আসনের এমপি পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ স্ব স্ব ইউনিটের নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে দলীয় সভাপনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাখিল করা হয়েছে। এখানে আত্মীয়তা বা স্বজন প্রীতির কোনো সুযোগ নেই।
রেজাউল করিম রেজা/বিএ