আড়ং আউটলেটের বাইরে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন
সায়েন্সল্যাবরেটরি মোড়ে ওভারব্রিজে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু উৎসুক তরুণ উঁকি মেরে নিচে নারী, পুরুষ ও শিশুদের লম্বা লাইন দেখে হাসাহাসি করছিল। তারা বলছিল, ‘দেখছোস মানুষ কেমনে এতো রোদের মধ্যে ঈদ শপিংয়ে নামছে!’
হঠাৎ দেখে মনে হবে টিকিট কেটে গণপরিবহনের জন্য সবাই যেন অপেক্ষা করছে। কিন্তু বাস্তবে এ ভিড় সায়েন্সল্যাবরেটরি সংলগ্ন আড়ংয়ের আউটলেটে প্রবেশের। শুক্রবার (৩০এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ঈদ শপিংয়ের জন্য সায়েন্সল্যাবরেটরির এ আউটলেটে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুদের দীর্ঘ লাইন লেগে আছে। ক্রেতাদের সকলের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। প্রায় গায়ে গা ঘেষেই তারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আড়ংয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা গায়ের তাপমাত্রা মেপে ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন। একজন কর্মচারীকে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ করতে দেখা যায়।
আড়ংয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ছুটির দিন সকাল থেকে ক্রেতাদের বেশ ভিড়। কেনাকেটাও বেশ ভালো হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ রোধে তারা শুধু ক্রেতাদেরই নয়, নিজেদের সুস্থ রাখার স্বার্থেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করছেন।
জিগাতলার বাসিন্দা গৃহবধূ সুফিয়া বেগম জানান, তিনি তার মেয়ের জামাই ও নাতির জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, আড়ংয়ের পাঞ্জাবি পরতে আরাম হলেও দাম বেশি মনে হয়েছে। আপনজনকে উপহার দিতে চার হাজার টাকায় দুটি পাঞ্জাবি কিনেছেন।
তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা আবদুল হামিদ জানান, স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও বাবা-মা’র জন্য ঈদ শপিংয়ে এলেও করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মনে খুশি নেই। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হাতে গ্লাভস, মাথায় ক্যাপ ও মুখে ডাবল মাস্ক পরে এসেছেন।
এমইউ/এমএইচআর/এএসএম