সু-সম্পর্ক তৈরি করতেই মোটর শোভাযাত্রা
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল (বিবিআইএন) মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রা রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের টাইমস স্কয়ার নামক একটি হোটেলে যাত্রা বিরতি করে। ওই শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের ছয়জন, ভুটানের চারজন, নেপালের চারজন এবং ভারতের ৬৬ জন প্রতিনিধি রয়েছেন।
জানা যায়, ওই শোভাযাত্রার মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করার জন্যই কাজ করা হচ্ছে। এর নেতৃত্ব দানকারীরা সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সবার মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য চার দেশের মধ্যে মোটর ভেহিকল প্রটোকল স্বাক্ষর হয়েছিল। সেই প্রটোকলের আলোকে এই মোটর শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রাটি চার দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ভুবনেশ্বর থেকে মোটর যাত্রাটি শুরু হয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ২০টি গাড়ির এই বহর। বাংলাদেশের ছয়জন, ভুটানের চারজন, নেপালের চারজন এবং ভারতের ৬৬ জন প্রতিনিধি রয়েছেন।
এর মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নিরোধ চন্দ্র মন্ডল, নেপালের দেশরথ, ভুটানের থিনলে এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রবীণ চন্দ্র। চার নারীসহ ৮০ যাত্রীবাহী ২০টি জিপ রয়েছে বহরে। উড়িষ্যার কলিঙ্গ মোটর স্পোর্টস ক্লাব, প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্লাব ও ভারত সরকারের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
সোমবার সকালে সোনারগাঁও হোটেলে বিবিআইএন এমভিএ সম্পর্কিত একটি সেমিনার শেষে মৈত্রী মোটর শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ মোট এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যশোরের বেনাপোল দিয়ে আগামী মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) কলকাতায় গিয়ে শেষ হবার কথা রয়েছে।
মো. কামাল উদ্দিন/বিএ