এখনও জমে ওঠেনি ঈদের কেনাকাটা
রমজান মাসের অর্ধেক শেষ হয়েছে। এমন সময় রাজধানীর বিপণীবিতানগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকার কথা। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে চলমান লকডাউনে ক্রেতাশূন্য রাজধানীর অধিকাংশ মার্কেট।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) মিরপুর এলাকার একাধিক শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ঈদে ভালো বিক্রির প্রস্তুতি নিয়ে এখন বড় লোকসানের আশঙ্কা করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়বে।
মিরপুর ১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটে ছেলেদের পোশাক বিক্রেতা আবদুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মার্কেটের আশে পাশে যারা থাকেন তারা আসছেন। গণপরিবহন না থাকায় দূর থেকে ক্রেতারা আসতে পারছেন না।‘
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শাহ আলী মার্কেটে এসেছেন মিরপুর ২ নম্বরের বাসিন্দা আরমান। ভিড় ছাড়াই সারতে চান ঈদের কেনাকাটা। এ জন্য সকাল সকালই চলে এসেছেন।
আরমান বলেন, ‘এই সপ্তাহ শেষে মার্কেটে মানুষের ভিড় বাড়বে। এজন্য আগেই এলাম কেনাকাটা করতে। প্রায় সব কেনাকাটা শেষ, এখন মেয়ের জুতা কেনার জন্য ঘুরছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি দোকানই ফাঁকা। তেমন কোনো লোকজন নেই। বিক্রেতারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করছেন।’
শাহ আলী মার্কেটের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। দোকানে তুলেছেন লাখ লাখ টাকার পণ্য। কিন্তু লকডাউন থাকায় তাদের সব হিসেব পাল্টে যাচ্ছে। অনেকেই আছেন পুঁজি হারানোর শঙ্কায়।
মিরপুর ২ এলাকার কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিক্রেতারা বলছেন, দুপুর পর্যন্ত বিক্রি একদমই হয় না। ইফতারের পরে কিছুটা বিক্রি বাড়ে।
ফ্যাশন হাউজ অঞ্জনসের এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা এখনো শুরু হয়নি। এখন লকডাউন যদি না তুলে নেয়া হয় তাহলে এবার ঈদে কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা হবে না।’
ফুটপাতে মেয়েদের জামা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ৮০ ভাগ বিক্রি কমে গেছে। যে অবস্থা তাতে লাভ তো দূরের কথা চালান ওঠে কি-না সন্দেহ।’
বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলছেন, ‘এবার আর ঈদ কেন্দ্রিক বিক্রির টার্গেট নেই তাদের। রোজার শেষ সপ্তাহ মার্কেট জমলে অন্তত বেতন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবেন তারা।’
এসএম/এসএস/এমএস