চলে গেলেন শিক্ষাবিদ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও ১৯৯০-৯১ সালের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বুধবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
রাত ১টায় অসুস্থ অবস্থায় তাকে শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার দুই ছেলে দেশের বাইরে আছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শমরিতা হাসপাতালের ভর্তি বিভাগে কর্মরত হেমন্ত রায় জানান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর লাশ হিমঘরে রাখা হয়েছে।
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ১৯২৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী ১৯৫২ সালে সরকারি বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ডে যান।
১৯৫৫ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। এর আগে দেশে ফিরেই যোগ দিয়েছিলেন ঢাকা কলেজে।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এ শিক্ষাবিদ শিক্ষকতা করেছেন বিশ্বভারতীতেও।
২০০০ সাল থেকে তিন বছর বেসরকারি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলা একাডেমি ও এশিয়াটিক সোসাইটিতে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির এবং নাগরিক নাট্য চক্রের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
অধ্যাপক জিল্লুর রহমান ইংরেজি ও বাংলায় ৪০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার কবিতাগ্রন্থ ‘হৃদয়ে জনপদে’ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পায়।