নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় এরশাদ আশায় রওশন

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয় রজনীগন্ধাতে মেয়র প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার ও মনোনয়নপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নিজের শঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা- তা আল্লাহ জানেন।’

যদিও একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডকেও বিবেচনায় নিচ্ছি। আজকের মধ্যেই প্রার্থী নির্বাচন ও প্রতীক বরাদ্দের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে।’

নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে মানুষ আওয়ামী লীগের অতীত সব অপকর্ম ভুলে যাবে।’

এরশাদ আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে। মানুষ নিরপেক্ষভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে অন্যসব প্রতীক বাদ দিয়ে উন্নয়ন ও সুশাসনের প্রতীক লাঙ্গল মার্কাতেই ভোট দেবে।’

তিনি বলেন, ‘জোটগতভাবে নির্বাচন করে সুফল পাইনি। এ জন্য একক নির্বাচন করব। এখন থেকে জাতীয় পার্টি সব নির্বাচনই এককভাবে করবে।’

এরশাদ আরো বলেন, ‘প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই, মনোনয়নের জন্য (ইসির কাছে) ১০ দিনের সময় চাওয়া হয়েছে। আশা করি, তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হবে।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট হবে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় প্রার্থীদের ফরম বিতরণ শুরু হয়। দুপুর ২টার পর থেকে ফরম জমা নেওয়া শুরু হয়। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে মানি রিসিটের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকাও নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম, এস এম ফয়সল চিশতী, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব জহিরুল ইসলাম জহির, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।

এএম/এসএইচএস/আরআইপি