হবিগঞ্জের ৪ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত
হবিগঞ্জ জেলার পাঁচটি পৌরসভার মধ্যে চারটিতে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি রয়েছে মাধবপুর পৌরসভা। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৮ জন প্রার্থী। রোববার দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেননি।
এ অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট পৌর এলাকার সংসদ সদস্য এবং উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএনপি চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীরা হলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভায় কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জি কে গউছ, শায়েস্তাগঞ্জে বর্তমান মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, চুনারুঘাটে বর্তমান মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু ও নবীগঞ্জে প্যানেল মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী।
মাধবপুর পৌরসভায় হাবিবুর রহমান মানিক এবং আলাউদ্দিন আল রনির মধ্য থেকে একজন মনোনয়ন পেতে পারেন। জেলা বিএনপির একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন- হবিগঞ্জ পৌরসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মর্তুজ আলী, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান।
চুনারুঘাট পৌরসভায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম রুবেল, যুবলীগ নেতা অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুল কাদির লস্কর রিমন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবুল খায়ের ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
নবীগঞ্জ পৌরসভায় বর্তমান মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ মিলু ও সুখেন্দু রায় বাবুল।
মাধবপুর পৌরসভায় বর্তমান মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহা ও সাবেক মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ মো. মুসলিম। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় মো. ছালেক মিয়া ও আব্দুল্লাহ সর্দার।
এর আগে শনিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় জেলার পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য জেলা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়।
আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে আহ্বায়ক, পিপিএম আকবর হোসেইন জিতুকে সদস্য সচিব করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এআরএ/পিআর