ভালো থাকুন মানবতার শিল্পী, বন্ধু জর্জ হ্যারিসন


প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

সারা বিশ্বের কাছে তার পরিচয় বিখ্যাত রক ব্যান্ড বিটলসের লিড গিটারিষ্ট হিসেবে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি কেবল তাই নন, সমাদৃত দুঃসময়ের এক অকৃত্রিম বন্ধু বলেই।

তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু, আমাদের বন্ধু জর্জ হ্যারিসন। একাত্তরে তার কণ্ঠে গাওয়া ‌‌‌‘বাংলাদেশ’ গানটি আলোড়ন তুলেছিলো সারা বিশ্বে। সেই গান দারুণ ভূমিকা রেখেছিলো বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরিতে।

আজ কিংবদন্তী এই কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী।

৬০ এর দশকে তরুণদের মাঝে দুনিয়াজোড়া যে বিদ্রোহ ও নানান অস্থিরতার বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী বহ্ণিশিখা জ্বলে উঠেছিলো গানের ব্যান্ড হিসেবে বিটলস ছিল তারই প্রতিচ্ছবি। সংগীত দিয়ে পুরো একটা প্রজন্মকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল তারা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের উপর পাকিস্তানের নির্মম অত্যাচার বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য ও শরনার্থিদের জন্য অর্থযোগান দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১লা আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক এর ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন এ অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’।

Harison
বাংলার আরেক বন্ধুবর রবি শঙ্করের সাথে একাত্ম হয়ে সেই কনসার্টের অন্যতম আয়োজক হিসেবে এগিয়ে এসেছিলেন জর্জ হ্যারিসন। সেই কনসার্টের শেষ দিকে হ্যারিসন ‘বাংলাদেশ’ নাম সেই বিখ্যাত গানটি গেয়েছিলেন। করুণ আর্তনাদের সুরে তিনি বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা।

২০০১ সালের ২৯ নভেম্বর মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ক্যন্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন এই মহান শিল্পী।

কেবল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধই নয়, বিশ্বের যে কোনো জাতির-দেশের দুঃসময়ে নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন জর্জ হ্যারিসন।

চোখের দেখায় তিনি নেই। দেখাও যাবে না আর কোনো দিন। কিন্তু মানবতার শিল্পী জর্জ হ্যারিসন চিরঅম্লান থাকবেন বাঙালির অন্তরে, বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণায়। তার ১৪ তম প্রয়াণ দিবসে রইল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আরএএইচ/এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।