রাশিয়ার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১

অডিও শুনুন

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশে রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর ফলে রাশিয়ার করোনা টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত বাধা থাকলো না। এখন কিনতে চাইলে রাশিয়া বাংলাদেশকে আগামী মাস থেকেই টিকা দিতে পারবে। 

গত ২২ এপ্রিল করোনার টিকা তৈরির জন্য বাংলাদেশ রাশিয়ার সহায়তা নিচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা টিকা তৈরির প্রযুক্তি বাংলাদেশকে দেবে রাশিয়া। এ বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। তবে টিকা তৈরির প্রযুক্তিটি অন্য কোথাও দেয়া যাবে না এই শর্তে বাংলাদেশকে তা দিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশও তাতে সম্মতি জানিয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোনো প্রতিষ্ঠানকে এই প্রযুক্তি দেয়ার কথা বলছে রাশিয়া। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ২ থেকে ৩ মাস লাগতে পারে।’

তিনি জানান, টিকা উৎপাদনে সক্ষম এমন একাধিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা রাশিয়াকে দেয়া হয়েছে। এখন তারা এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে ফর্মুলা দিতে পারে। যৌথভাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত টিকা তৃতীয় দেশে রফতানির প্রস্তাবও মেনে নিয়েছে রাশিয়া।

টিকা অনুমোদনের বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিলে এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডে ব্যবহারের অনুমোদন থাকলে সেসব ওষুধ, টিকা বা চিকিৎসাসামগ্রী বাংলাদেশে অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকর ও নিরাপদ ধরে নিয়ে এসব ওষুধ ও টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা এই সাতটি দেশ অনুমোদন দেয়। তবে রাশিয়ার টিকা ওইসব দেশ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়নি এখনও।

এমইউ/এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।