ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট চারদিকে ৩০০ গুণ সংক্রমণ ছড়াতে পারে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২১
ফাইল ছবি

অডিও শুনুন

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন দেশের জনগণকে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেঙ্গল ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে। এটি অত্যন্ত মারাত্মক। এই ভ্যারিয়েন্টের চারদিকে সংক্রমণ করার ৩০০ গুণ ক্ষমতা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে অসম্ভব রকমের করোনার সংক্রমণ ঘটছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ভারতে যে দুটো ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে- ডাবল বা ত্রিপল মিউটেশন ভাইরাস, তা সারাবিশ্বে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে। ভারতের এই ডাবল কিংবা ত্রিপল মিউটেশন ভাইরাস যেন কোনোভাবেই দেশে আসতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচারকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ অতিক্রম করছি। আগামী ২৮ এপ্রিল সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন শেষ হবে। ইতোমধ্যে আজ ২৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। বর্তমান এ সময়ে জনগণের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউন পরিপূর্ণ সমাধান নয় এবং এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

তিনি বলেন, জনগণকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বপালন করবেন তাদেরকে অবশ্যই সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর হয়ে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে ১৪ দিনের কম কোয়ারেন্টাইন আসলে কোনো কোয়ারেন্টাইনই নয়। কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অধিদফতরের একার দায়িত্ব না। এক্ষেত্রে একাধিক মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অবশ্যই ১৪ দিন হতে হবে। স্থান সংকুলান না হলে প্রয়োজনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন হলেও তা নিশ্চিত করতে হবে।

এমইউ/এআরএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।