মাস্কে অনীহা বিক্রেতাদের
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে দোকান, শপিংমল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও কোথাও কোথাও তা মানা হচ্ছে না। মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে সরকার শপিংমলগুলো খুলে দেয়ায় ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অধিকাংশ বিক্রেতা তা মানছেন না। তবে শপিংমলের দায়িত্বরত ব্যক্তিরা দাবি করছেন সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে।
রোববার ( ২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সুবাস্তু নগর ভ্যালি, প্রিমিয়ার প্লাজা, ফরচুন শপিং মল, হল্যান্ড সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো মার্কেটে ক্রেতা থাকলেও কোথাও কোথাও ক্রেতা নেই। তবে ঈদের আগে দোকান খুলতে পেরে অনেকেই আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
সুবাস্তু নগর ভ্যালি শপিংমলে মাস্ক ছাড়া কেউ ঢুকতে পারছেন না। এছাড়া মলে ঢুকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মলের ভেতরের চিত্র ভিন্ন। সেখানকার বেশকিছু দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কারো কারো মুখে মাস্ক আছে, কারো কারো নেই। কারো আবার থুতনিতে আটকানো। জিজ্ঞেস করলেই গরমের কথা বলছেন তারা। কারো আবার উত্তর দিতেও অনীহা। এসবের কোনো দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেখা যায়নি। সেখানে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা ঘোরাফেরা করলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
সেখানকার পুরুষদের একটি পোশাকের দোকানে তিনজন সেলসম্যানের একজনের মাস্ক নেই আর দুইজন থুতনিতে আটকে রেখেছেন। কেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরছেন না জানতে চাইলে সবুজ নামে একজন জানান, ‘মাস্ক পরলে অনেক গরম লাগে। এজন্য এখন একটু খুলে রেখেছি।’
সুবাস্তু নগর ভ্যালির ম্যানেজার এসকে তৌহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শপিংমল খুলেছি। কোনো বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে সেখানকার বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সরণির জুতার দোকানগুলোর সব ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা গেছে।
সুবাস্তু নগর ভ্যালির উল্টোদিকে প্রিমিয়াম প্লাজা একদম ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। ওই শপিংমলে ঢুকার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর কোনো ব্যবস্থা নেই। মাস্ক পরে কেউ ঢুকছে কি না তারও কোনো তদারকি নেই।
অন্যদিকে হল্যান্ড সেন্টারে এখনও সেভাবে বিক্রি শুরু হয়নি। সেখানে রত্না ফ্যাশন শাড়ি বিতানের মালিক কবির উদ্দিন জানান, ‘এখনও ক্রেতা আসা শুরু হয়নি। তবে দোকান খুলে দেয়ায় আমরা খুশি।’
এইচএস/এমএইচআর/এমএস