মার্কেট-শপিংমল খোলা, কার্যত অকার্যকর লকডাউন
সরকারি নির্দেশনায় আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় চলমান লকডাউন কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। লকডাউনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নিষেধ থাকলেও মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় রাজধানী ঢাকার অসংখ্য মার্কেট ও শপিংমলের হাজারো দোকানের মালিক ও কর্মচারী রাস্তায় চলাচল করছেন। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকলেও অন্য সব ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
রোববার সকালে ধানমন্ডি, রমনা, শাহবাগ, নিউমার্কেট ও কলাবাগান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবারের তুলনায় আজ রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। কোথাও কোথাও হালকা যানজটেরও সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। লকডাউনের কারণে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলচালকরা যাত্রী না পেলেও আজ তাদের সকাল থেকেই যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তাদের অনেকটাই নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্কেট ও শপিংমল খোলা রেখে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বহাল রাখা কার্যকর কোনো ফল বয়ে আনবে না। অনেকেই এখন মার্কেট ও শপিংমলে যাওয়ার কথা বলে বের হবেন। তাদের কী বলে আমরা আটকাবো? তাই আমরাও কিছুটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছি।’
তবে চলমান লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মার্কেটের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বিপাকে পড়েছেন। দূর-দূরান্ত থেকে যাতায়াতে তাদের অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে। লকডাউনে এ মুহূর্তে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ও রিকশাই ভরসা। অসংখ্য মানুষ একসঙ্গে আজ বের হওয়ায় এ দুটি যানবাহনের চাহিদা বাড়ায় ভাড়াও বেশি। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেককেই রোজা রেখে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে আসতে দেখা গেছে।
এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস