‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়াই রাস্তায় হাজারো মানুষ
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ২টা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিআরটিসির দ্বিতল বাসে উঠার চেষ্টায় মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। কিন্তু বাসের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকের বাধায় তিনি উঠতে পারছিলেন না। ওই যুবকের প্রশ্ন— আপনি কি হাসপাতালের স্টাফ?
বাসে উঠার চেষ্টারত ব্যক্তির জবাব ‘না’। প্রতিউত্তরে যুবক জানালেন- ‘এটা পাবলিক বাস নয়। হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা-নেয়ার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত বাস।’
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জালাল আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনে যেভাবে রাস্তায় যানবাহন চলছে, ভেবেছিলাম গণপরিবহনও চলাচল শুরু হয়েছে। সবকিছুই যখন চলছে গণপরিবহন বন্ধ রেখে লাভ কী? তা না হলে আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের চলাচলে ভোগান্তি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে সরকারঘোষিত তৃতীয় দফা লকডাউন চলছে। তবে রাজধানীর সড়কে ভিন্ন চিত্র। কোথাও লকডাউনের নমুনা নেই। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ রাস্তায় মানুষের চলাফেরা বেশি। গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনই (প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, কাভার্ডভ্যান) প্রায় অবাধে চলাচল করছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন তারা।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্য়ন্ত আজিমপুর থেকে শ্যামলী পর্যন্ত মিরপুর রোডের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন রাস্তাঘাটে চলাচলে পুলিশের ইস্যুকৃত মুভমেন্ট পাসটি গুরত্বপূর্ণ হলেও, আজ তা গুরত্বহীন। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কোথাও কোথাও যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সড়কে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে চেকপোস্ট তৈরি করলেও আজ জিজ্ঞাসাবাদ বা মুভমেন্ট পাস দেখতে অনীহা চোখে পড়েছে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের। দু-এক জায়গায় গাড়ি থামালেও আগের মতো মুভমেন্ট পাস নিয়ে কঠোর হতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মানুষ নানা প্রয়োজনের অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে। এখন তারা মুভমেন্ট পাস দেখার চেয়ে মাস্ক পরিহিত রয়েছে কি-না, তা দেখার ওপর জোর দেয়া হচ্চে।
এমইউ/এএএইচ/এএসএম