মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি (আইআইইউএম) উম্মাটিক ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবেশনায় বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে আসে।
২৭ নভেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল অ্যাক্টিভিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের । ফেস্টিভ্যালে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাবের কার্যক্রম, বিভিন্ন লেকচার ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন আয়োজকরা। ২৪নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ ফেস্টিভ্যাল চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
ফেস্টিভ্যালে প্রায় অর্ধশতাধিক দেশের শিক্ষার্থীরা যারযার দেশের কৃষ্টি-কালচার পরিবেশন করবেন। এসব পরিবেশনায় মূলত তাদের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রত্যেক দেশের রয়েছে নিজস্ব স্টল। যার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, জাতীয় পোশাক, আসবাবপত্র, গান বাজনা, নাচ, বাদ্যযন্ত্র, খাবারসহ বিভিন্নভাবে তুলে ধরেন দর্শকদের কাছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথমেই দেখানো হয় দেশের উপর নির্মিত একটি স্বল্পদৌর্ঘের প্রামাণ্য চিত্র। বাংলাদেশের হয়ে এবারের উৎসবে ১৮ জনের একটি দল নৃত্য পরিবেশনা করে। উপজাতিদের গান, দেশের গান ও আধুনিক গানের তালে এবং বিভিন্ন পোশাক পরে নাচ পরিবেশনা করেন শিক্ষার্থীরা। পরিবেশনা শেষে তারা মানব স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন। গ্যালারি থেকে হাজারো দর্শকদের হাততালিতে এবং বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চিৎকারে সারা হল মুখরিত ছিল ।
এছাড়া আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছিল বাংলাদেশি স্টলটি। সেখানে বাংলাদেশের মানচিত্র, স্বাধীনতার ইতিহাস, দেশের সংস্কৃতি, লালনের ছবি, নকশী কাঁথা, রিকশা, পালকি, হাতে আঁকা বিভিন্ন ছবি এবং কারুকাজে লেখা বাংলাদেশসহ দেশি আসবাব পত্র রাখা হয়।
এসময় স্টল পরিদর্শনকারীদের দেশীয় খাবার ও মিষ্টান্ন খেতে দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশি ছাত্রীরা বিদেশি মেয়েদের হাতে মেহেদি পরিয়ে দেয়। এছাড়া স্টলে আগত দর্শকদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং দেশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় উপস্থাপন করেন স্টলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীরা।
ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমি অভিভূত! এখানে একশটিরও বেশি দেশের সামনে আমাদের বাংলাদেশ ও বাংলা সংস্কৃতি সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য পারফর্মারদের অভিনন্দন। বিশেষ করে পারফর্মের শেষে মানব স্মৃতি সৌধটি অসাধারণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিদেশের মাটিতে দেশকে তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা খুবই আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য আমরাও এ ক্ষুদ্র চেষ্টা করেছি। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা এবং চাকরীজীবীরাও তাদের পরিবারসহ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এসকেডি/আরআইপি