লকডাউন ‘শিথিল’ হওয়ায় ফের বেড়েছে বায়ু দূষণ
অডিও শুনুন
সর্বাত্মক লকডাউন ‘শিথিল’ হওয়ায় রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। মানুষের চলাচলও বেড়েছে। আর তাতে ফের বেড়েছে বায়ু দূষণ।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, লকডাউন শুরুর পর ১৪ এপ্রিল থেকে দিনের কোনো কোনো সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৭০ ভাগ বায়ু দুষণ কমেছে। সারাদিনের হিসেবে ৫৫ ভাগ কমেছে।
তিনি জানান, লকডাউন চলাকালে প্রতিদিন ঢাকার দুটি করে মোট ১০ এলাকায় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) আট ঘণ্টা করে বায়ুর মান পরিমাপ করছে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে। আর এতেও উঠে আসে এ তথ্য।
কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, কঠোর বা সর্বাত্মক লকডাউনে প্রথম দুইদিনে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বায়ুদূষণ কমেছিল, তৃতীয় দিনে গাড়ি তুলনামূলক বাড়ার কারণে সেটা আরও বাড়তে শুরু করে। তখন ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বায়ু দূষণ কমতে থাকে স্বাভাবিকের তুলনায়। ২০ এপ্রিল ও ২১ এপ্রিল বায়ু দূষণ ঊর্ধ্বমুখী আছে।
তিনি জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের তুলনায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ১১ ভাগ, ফেব্রুয়ারিতে ৫ ভাগ এবং মার্চ মাসে ২১ ভাগ বায়ু দূষণ বেড়েছে। এখন গত বছরের তুলনায় দূষণ বেশি আছে। লকডাউনে কমার কথা ছিল। প্রথম দিকে একটু কম ছিল কিন্তু সেটা আবার বেড়েছে। সেই কমাটা ধরে রাখতে পারেনি ঢাকার বাতাস। গত বছরের সাধারণ ছুটিতে যেভাবে বায়ু দূষণ কমেছিলে, এবছর লকডাউনে সেভাবে বায়ু দূষণ কমেনি।
পরিবহন বাড়ায় বায়ু দূষণ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় গ্রাউন্ড লেভেলের এয়ার পলিউশন বা ভূমির কাছাকাছি বায়ু দূষণটাই বেশি হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট খোঁড়াখুঁড়িতে ধুলাবালি এবং যানবাহনের ধোয়া বায়ু দূষণের মেজর একটা সোর্স বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এসএম/জেডএইচ/এএসএম