এলাকাভিত্তিক ইফতার বাজারেও নেই বিক্রি, হতাশ দোকানিরা
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে দেশজুড়ে চলছে কঠোর লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের মতো ইফতার বাজারে নেই রমরমা বেচাকেনা। তবে স্বল্প পরিসরে কিছু কিছু জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ইফতার সামগ্রী।
রোববার (১৮ এপ্রিল) রমজানের পঞ্চম দিনে রাজধানী যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ও ধোলাইপাড় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখে যায়, প্রতিবছর মূল সড়কের পাশে বড় আকারে ইফতার বিক্রি হলেও এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে এবার স্বল্প পরিসরে বিক্রি হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। তবে এলাকাভিত্তিক ইফতারের দোকানগুলো আগের মতোই পসরা সাজিয়ে বসেছে। সেক্ষেত্রে খুব একটা ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। নেই আগের মতো বেচাকেনাও।
দোকানিরা জানান, জিলাপি, হালিম, চপ, বোরহানি, দই, আলুর চপ, পেঁয়াজু ও রোলসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার কিনতে দোকানে আসেন ক্রেতারা। এবার সেসব ইফতার সামগ্রী কিনতেও খুব একটা দোকানে আসছেন না সাধারণ মানুষ। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার বিক্রি করছেন বলে দাবি করছেন দোকানিরা।
ধোলাইপাড়ের ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা সামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর আসরের নামাজের পর কোনো দিকে তাকানোর সময় পেতাম না। আর এ বছর কোনো কাস্টমারই দেখছি না। গত বছরের চেয়ে অনেক কম ইফতার বানাচ্ছি। তারপরও বিক্রি করতে পারছি না। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব করছি তারপরও সাড়া দিচ্ছে না মানুষ।
শনির আখড়ায় কথা হয় ইফতার বিক্রেতা নূরে আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি বছরই আমি ইফতারের ব্যবসাটা করি। এবারের অবস্থা খুবই খারাপ। গত বছর এতো লকডাউনেও কিছুটা বেচাকেনা ছিলে। কিন্তু এবার তাও নেই। এতো অল্প ইফতার নিয়ে বসছি তাও বিক্রি করতে পারছি না। গত কয়েকদিনের অবস্থা একই।
দনিয়ায় ইফতারের দোকানের সামনে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শহিদুল আলমের সাথে। তিনি জানান, ‘আমি জিলাপি কিনতে এসেছি। আগে তো বাইরে থেকে অনেক ধরনের ইফতার কিনতাম, করোনার কারণে এখন আর সেটা করা হয় না। এখন বাসায়ই ইফতার বানানো হয়। জিলাপিটা ইফতারের স্বাদ বাড়ায়, তাই কিনতে আসলাম। যেহেতু এখন সতর্ক থাকতে হবে, তাই বাইরের খাবার এভয়েড (এড়িয়ে চলা) করাটাই ভালো।’
এদিকে মূল সড়কগুলোর হোটেলে অন্যান্য বছর ইফতারের ব্যাপক বেচাকেনা দেখা গেলেও, এ বছর নেই তেমন হাকডাক। অনেক হোটেল বন্ধ রাখতেও দেখা গেছে।
আইএইচআর/এমএসএইচ/জিকেএস