বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের উপস্থিতি কম, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমা
কঠোর লকডাউনের কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসতে পারেননি মুসল্লিরা। ফলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা গেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজে অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক ফাঁকা ছিল মুসল্লিদের চলাফেরা ও অবস্থান। মূল চত্বর ছাড়া বারান্দা সিঁড়ি-প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থানে খালি ছিল। অন্যান্য জুমার মতো মাকেট চত্বর বা আশেপাশে কাতার করতে হয়নি মুসল্লিদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভেতরে একটির পর একটি কাতার ছেড়ে মুসল্লিরা বসেছেন। এছাড়া বেশিরভাগ কাতারেই দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হচ্ছে। অজুখানাসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি আগত মুসল্লিদের বেশির অংশকেই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে দেখা গেছে। বেশি অংশের হাতে ছিল জায়নামাজও।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে কতিপয় বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও কঠোর লকডাউনের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বায়তুল মোকাররমে এসে নামাজ পড়ার সুযোগ নেই। গতকাল নামাজের আগে রাস্তায় বিভিন্ন চেকপেস্টে অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা রোধে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
এছাড়া জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে এবং পরে মসজিদ ও উপাসনালয়ে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ করা নিষিদ্ধ রয়েছে। এরআগে ৯ এপ্রিল ছাড়া তার আগে কয়েক জুমায় বায়তুল মোকাররমে হেফাজত ইসলামের কর্মসূচি ছিল।
ফলে ১৬ এপ্রিলও জুমার পরে যেন কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও তারা স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় কাজ করেছেন।
এনএইচ/বিএ/এমএস