নদী ভরাট ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি
অপরিকল্পিত বালি উত্তোলন, পানি প্রবাহে বাধা, সিএস পর্চাম্যাপ অনুযায়ী সীমানা চিহ্নিত না করা, দখল ও ভরাট ইত্যাদি কারণে নদীগুলো ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে যা আমাদের ভবিষ্যতৎ প্রজন্মের সুস্থ জীবনের জন্য মারাত্নক হুমকি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের বক্তরা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত সেমিনারে আলোচকদের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।
নদীগুলো ক্রমশ সংকুচিত হওয়া প্রতিরোধে জরুরিভাবে প্রতিকার না করা গেলে মৃতপ্রায় নদীগুলো ধ্বংসের চূড়ান্ত দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে জানিয়ে বক্তারা বলেন, শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য, রং ও কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি, ইঞ্জিনচালিত নৌকা,ট্রলার, কার্গো ও জাহাজের নির্গত পোড়া তৈল মবিলের বর্জ্য, মানুষের বর্জ্য ইত্যাদি কারণে সৃষ্ট দূষণে তুরাগ, বালু, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, বংশী কর্ণফুলীর পানি শুধু বিষাক্ত হয়নি নদীগুলোর তলদেশে বিষাক্ত বর্জ্যের কঠিন স্তর পড়ে গেছে।
তারা আরো জানান, বিষাক্ত এই পানিতে উৎপন্ন ফসল ও জলজ প্রাণীও নিরাপদ নয় এবং এর পানি ও পানি থেকে আসা দূর্গন্ধ জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদত এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সানাউল্লাহ, মনির হোসেন, যুগ্ন-সম্পাদক ডা. বোরহান উদ্দিন অরন্য, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
এএস/এসকেডি/পিআর