বগুড়ায় হামলার দায় স্বীকার আইএসের


প্রকাশিত: ০৫:১৫ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাগরিবের নামাজের সময় শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি কার্যক্রম নজরদারিকারী যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জে একটি শিয়া মসজিদে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তের অতর্কিত হামলায় মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হয়েছেন। নিহত মুয়াজ্জিনের নাম মোয়াজ্জেম হোসেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম হরিপুর চককানু গ্রামের শাহিনুর রহমান (৪০), আফতাব আলী (৪০) ও আবু তাহের (৩৫) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই মসজিদে নামাজ আদায়কারী তৌফিক হোসেন জাগো নিউজকে জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের কাছে মসজিদ-ই-আল মোস্তফার অবস্থান। শিয়া সম্প্রদায়ের এই মসজিদটি আগে থেকে উঁচু দেয়াল ও লোহার গেট দিয়ে সুরক্ষিত।

বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের শেষের দিকে মসজিদের দেয়াল টপকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ৪ যুবক মসজিদে প্রবেশ করে। এ সময় ১৬ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন। দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে নামাজরত মুসল্লিদের উপর অতর্কিত গুলি হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় গুলির বিকট শব্দে চারপাশ কেঁপে উঠে।

দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরমধ্যে মাথায় গুলি লেগে আহত মসজিদের মোয়াজ্জিন মোয়াজ্জিম হোসেন (৬৫) বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। তিনি হরিপুর গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

এর আগে রংপুরের কাউনিয়া ও ঢাকার গুলশানে দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ও স্বীকার করে আইএস। একই সঙ্গে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে হামলাসহ কয়েকটি ঘটনার দায়ও আইএস স্বীকার করে বলে সাইট জানায়।

তবে এসব ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।