প্রথমদিনে মুভমেন্ট পাস পেলেন ৩০ হাজার আবেদনকারী
বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ৮ দিনের মধ্যে যাদের খুব জরুরি কাজে বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হবে তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) অ্যাপসটির উদ্বোধনের পর থেকেই আবেদনের হিড়িক পড়ে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়েবসাইটে কিছুটা চাপও সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত মুভমেন্ট পাসের আবেদন জমা পড়েছে ৬০ হাজার। এর মধ্যে ৩০ হাজার আবেদন ইস্যু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মুভমেন্ট পাস অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। উদ্বোধনের পর থেকে নাগরিকরা ওয়েবসাইটে গিয়ে মুভমেন্ট পাসের আবেদন করছেন। অ্যাপসের উদ্বোধনের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৬০ হাজার আবেদন গ্রহণ করা হয়। সেখান থেকে ৩০ হাজার নাগরিককে মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হয়েছে।’
এআইজি সোহেল রানা বলেন, ‘অ্যাপসটি উদ্বোধনের পর সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ নাগরিক ওয়েবসাইটে হিট করে।’
এর আগে দুপুরে পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল প্রতি মিনিটে মুভমেন্ট পাসের জন্য প্রায় ১৫ হাজার করে আবেদন জমা পড়ছে। আর ঘণ্টায় প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ছে।’
এদিকে দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মুভমেন্ট পাস অ্যাপসের উদ্বোধনকালে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মুভমেন্ট পাস ব্যবহার করে নাগরিকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন। তবে এক মোবাইল নম্বর ও গাড়ি নম্বর দিয়ে একবারই পাস নেয়া যাবে।
আইজিপি বলেন, ‘আমরা বিনা প্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় দেখতে চাই না। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে এবং ঘরে ফিরে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার হবেন। আপনার মাধ্যমে যেন আপনার প্রিয়জন করোনায় সংক্রমিত না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতিরঝিলসহ অন্যান্য জায়গায় আপনারা জটলা করে আড্ডা দেবেন না। অভিভাবকদের অনুরোধ করব, আপনারা সন্তানদের ঘর থেকে বের হতে দেবেন না। যদি খুব দরকার হয়, তাহলে পাস নিয়ে নেন। পুলিশ বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাকে পাস দেখান।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘লকডাউনের দিনগুলোতে অপ্রয়োজনীয় মুভমেন্ট বন্ধ করতে হবে। গত বছর সাধারণ ছুটি দেয়ার পর অনেকেই একসঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সংক্রমণের শঙ্কা বাড়িয়েছেন। এবারও ঠিক তাই করছেন। আমি গ্রামের বাসিন্দাদের অনুরোধ করব, যারা ঢাকা থেকে গ্রামে গেছেন, তাদের আইসোলেটেড করুন। তারা যেন অন্যকে আক্রান্ত করতে না পারে।’
টিটি/এএএইচ/এএসএম