পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ ঝুঁকিভাতা নিশ্চিতের দাবি
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালীন সময়ে কাজ অব্যাহত রেখে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় ঈদের ১০ দিন আগেই পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও ঝুঁকিভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কনফেডারেশন অব লেবার (বিসিএল)।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) করোনাকালে শ্রমিকস্বার্থ নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকারঘোষিত লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও দেশের অর্থনীতির গতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্পকারখানা খোলা রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি ও যাতায়াতের জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও অনেক মালিকরাই কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শ্রমিকদের যাতায়াতে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও বেশির ভাগই কারখানাই তাও করেননি। ফলে করোনা মহামারিতে শ্রমিকদের ঝুঁকি নিয়ে কারাখানায় যাতায়াত করতে হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ‘মালিকরা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেও আদতে তারা কোনো ধরণের পরামর্শ ছাড়াই নিজেদের সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে।’
নেতারা বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে থাকা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকুরীজীবিদের ঝুঁকি ভাতা দেয়া হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পোশাকশিল্পের সার্বিক উন্নয়নে ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলা পোশাকশ্রমিকদের কোনো ধরণের ঝুঁকি ভাতা প্রদান করা হয় না। আমরা বাংলাদেশ কনফেডারেশন অব লেবার (বিসিএল) এর পক্ষ থেকে করোনাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সকল পোশাকশ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের দাবি করছি। পাশাপাশি ২০ রমজানের মধ্যেই সকল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস প্রদান করতে হবে। করোনার অজুহাতে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না।’
মো. বাহারানে সুলতান বাহারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতা করেন সুলতানা বেগম, মো. নাজিম উদ্দিন আকন্দ, মাহাতাব উদ্দিন সহিদ, শামীম খান, আলমগীর রনি, জাহানারা বেগম, শামীমা শিরিন, এইচ এম বিল্লাল, কফিল উদ্দিন প্রমুখ।
এইচএস/এএএইচ/এএসএম