মানবতাবিরোধী অপরাধে ১০ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি
একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা আবদুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ (৬৫) সহ ৬ জন এবং মৌলভী বাজারের ৪ জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের করা পৃথক পৃথক আবেদন শুনানি করে বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়রুল হকের নেতৃত্বে তিন সদেস্যর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
জামায়াত সেতা আব্দুল আজিজ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এবং মৌলভীবাজারের ৪ জনের বিরুদ্ধে শুনানি করেন প্রসিকিউটর শেখ মুশফিক কবির।
গত বছর সুন্দরগঞ্জের জামায়াতের সাবেক এমপি আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ওই বছরের ২০ নভেম্বর থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জেডএম আলতাফুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল সুন্দরগঞ্জ ও পাশের এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ে অনুসন্ধান করেন।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরগঞ্জের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের মরহুম আলম উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান সরকার বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ’৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আজিজার রহমানের বড় ভাই বয়েজ উদ্দিনকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া ধর্মপুর গ্রামের আকবর আলীকে হত্যার অভিযোগে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করেন আনিছুর রহমান।
প্রসিকিউটর সুমন জাগো নিউজকে জানান, ঘোড়ামারা আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ১৩ জনকে হত্যা-গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা রয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে সকল আসামির নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে প্রসিকিউটর মুশফিক জানান, মৌলভীবাজারের রাজনগরের চার আসামির বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৩ জনকে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দু’টি মামলারই তদন্ত চলছে এবং তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন। ফলে আদালত তাদের গ্রেফতার করার আদেশ দিয়েছেন বলে জানান প্রসিকিউটর মুশফিক।
এফএইচ/আরএস/আরআইপি