নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ খাবারের দোকান
লকডাউনে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা খাবারের দোকান। এ সময় পর্যন্ত ক্রেতারা খাবারের দোকান থেকে খাবার কিনে নিয়ে যাবেন তবে, দোকানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না। কিন্তু এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকার খাবারের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার সরেজমিনে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, পল্টন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বিকেলে এসব এলাকার দু-একটা ছাড়া বাকি সব খাবারের দোকান বন্ধ ছিল। যেসব দোকান খোলা ছিল সেগুলোও বন্ধের তাগাদা দেয়া হয়েছে।
এ সময় মালিবাগ এলাকায় আল্লারদান হোটেলের স্বত্বাধিকারী ফরিদ হোসেন বলেন, ‘৪টায় হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। পার্সেলও বিক্রি করা যাচ্ছে না। কিন্তু ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বলে আমরা জানতাম।’
বিকেল ৫টায় মৌচাক মার্কেটের আশপাশে কোনো খাবারের দোকান খোলা ছিল না। কয়েক মিনিট পর শান্তিনগরে একটি খোলা হোটেল বন্ধ করতে দেখা গেছে পল্টন থানা পুলিশের একটি টিমকে।এ
সময় জানতে চাইলে দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল বলেন, ‘ওষুধের দোকান ছাড়া সবকিছু ৪টা নাগাদ বন্ধ হবে। আর ৬টার পরে কোনো লোকজন থাকবে না, এমন নির্দেশনা রয়েছে। তাই আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি।’
এদিকে দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন খাবারের দোকান বন্ধ হতে থাকে। এতে বিপাকে পড়েন লকডাউনে চালু থাকা জরুরি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেসের বাসিন্দাসহ অন্যরা।
ইয়াকুব আলী নামের সিদ্বেশ্বরীর এক বাসিন্দা বলেন, ‘করোনার ভয়ে বুয়া বাদ দিয়েছি। ভেবেছিলাম হোটেল থেকে পার্সেল নিয়ে খাব। কিন্তু সব বন্ধ। বিপদে পড়ে গেছি।’
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও খাবার দোকান খোলা রাখা যাবে। ৪টার পর জরুরি সেবা ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকবে। সে মোতাবেক খাবার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সন্ধ্যা ৬টার পরে লোকজন রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
এনএইচ/এমএসএইচ/এএসএম