গাবতলীতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ
লকডাউনের অগ্রিম সরকারি ঘোষণা আসার পর রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। গাবতলী বাস টার্মিনালে এখন ঘরমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত থেকে বাসের টিকিট বিক্রি বেড়ে গেছে। তবে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাসগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
এদিকে, বাস টার্মিনালে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। অনেকেই ঘুরছেন মাস্ক ছাড়া।
রোববার সরেজমিনে গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের প্রায় দেড় মাস বাকি থাকলেও রাজধানীবাসী বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা শোনার পরপরই কাউন্টারগুলোতে টিকিটপ্রত্যাশীরা যোগাযোগ শুরু করেন। অনেকে আবার সপরিবারে সকাল-সকাল টার্মিনালে এসে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে কাউন্টারগুলো থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
টিকিটের জন্য অপেক্ষমান নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল শুনলাম লকডাউন আসছে তাই পরিবারসহ বাড়ি চলে যাচ্ছি। টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছি। টিকিট পেলে রওনা দেব।’
মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও শারমিন বলেন, ‘আগামীকাল থেকে লকডাউন আসছে এ কারণে আমাদের কলেজ ছুটি দিয়েছে। হোস্টেলের সব ছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।’
‘এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছি। বেলা সাড়ে ১২টায় বাস ছাড়বে।’
খুলনাগামী আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুলনার ভাড়া সাধারণত ৫০০ হলেও যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় আজকে এক হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।’
এ নিয়ে কাউন্টারে তার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডাও হয়।
গাবতলী সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে দায়িত্বরত নজরুল বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘লকডাউনের খবর আসার পর কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড় দেখা দিয়েছে। আজকে সারাদিনে ১২টি বাস ছাড়বে। গতকাল রাত থেকে শুরু হয়ে সকাল ১১টার মধ্যে টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। এখন যারা আসছে তাদের বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।’
হানিফ কাউন্টারের ম্যানেজার জাকির মল্লিক জানান, ‘লকডাউনের কারণে ঢাকার মানুষ বাড়ি ফেরা শুরু করেছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। তবে কিছু টিকিট এখনও রয়েছে। যারা আগে আসছেন, তারা টিকিট নিতে পারছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার কারণে ৪০ সিটের বাসে ২০ জন নিতে হচ্ছে। ফলে সিট খালি থাকলেও যাত্রী নেয়া যাচ্ছে না।’
যশোরের টিকিট নিতে রোজিনা এক্সপ্রেসের কাউন্টারে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এক যাত্রী।
তার অভিযোগ, ‘নিয়মিত ভাড়া ৫০০ টাকা হলেও বর্তমানে ১ হাজার টাকা দাবি করা হচ্ছে। সরকার ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত নির্ধারণ করে দিলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।’
এমএইচএম/এসএস/এমএস