বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২১

পূর্বঘোষণা অনুসারে শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। তবে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা থাকলেও সে কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে সংগঠনটি।

সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব।

সমাবেশে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার আতঙ্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে কোনো পুরুষ থাকতে পারছেন না। কিন্তু প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হচ্ছে না। উল্টো ওইদিনের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার-হয়রানি করা হচ্ছে।’

জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘যিনি মাদরাসায় হামলা করলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ককটেল মারলেন, গুলি করে মানুষ হত্যা করলেন, তাদের কিছুই হচ্ছে না। স্থানীয় এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তার বাহিনী অবাধে ঘুরছেন। আমরা তাদের গ্রেফতার চাই।’

তিনি বলেন, ‘করোনা আতঙ্কের কথা বলে এখন মাদরাসা বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। গত রমজানের মতো তারাবি ও নামাজ বন্ধের পাঁয়তারা চলছে। এ দফায় এমন করা হলে কঠোর আন্দোলন হবে। ধর্মপ্রাণদের জুজুর (করোনা) ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।’

jagonews24

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, ‘সরকার হেফাজতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নাটক বানাচ্ছে। মাদরাসা থেকে ছুরি উদ্ধার করে ছাত্রদের সন্ত্রাসী বানাতে চাচ্ছে। সেগুলো কোরবানির ছুরি ছিল। যেগুলো না হলে দেশের পশুপাখির গোশত হালালভাবে খেতে পারতেন না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। আগামী বাংলাদেশ হেফাজতের বাংলাদেশ। যত অপপ্রচার চালান হেফাজতকে রুখতে পারবেন না। হেফাজত কারও পক্ষে নয়। দেশের প্রয়োজনে, ইসলামের প্রয়োজনে হেফাজত মাঠে রয়েছে, থাকবে। তিন দিনে ২০ জন শহীদ হয়েছেন। প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব।’

হেফাজতের সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘ভারতের মান রক্ষায় ২০ জন ভাইকে শহীদ করা হয়েছে। ৫০ বছর আগে পাকিস্তানি শাসকরা প্রাণ নিয়েছে। এখন ভারতীয় বাহিনীর জন্য রক্তে রঞ্জিত হলো বাংলাদেশ। নরেন্দ্র মোদিকে সুরক্ষিত রাখতে বাঙালির তাজাপ্রাণ কেড়ে নেয়া হলো।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন হেফাজতের নায়েবে আমির আব্দুর রব, নায়েবে আমির আব্দুল কাদের প্রমুখ।

এদিকে হেফাজতের কর্মসূচিকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জুমার নামাজের আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় এ জোরদার নিরাপত্তা দেখা যায়।

এনএইচ/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।