৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্বের বিষয়ে জানতে দলগুলোকে চিঠি দেবে ইসি
রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃত্বের সর্বশেষ অবস্থা জানতে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ৭৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাশেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে রাজনৈতিক দলের শর্ত পূরণের বিষয়টি এজেন্ডায় ছিল। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেয়ার। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের শর্ত অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃত্ব ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এক্ষেত্রে দলগুলোর সর্বশেষ কী অবস্থা কমিশন দলগুলোকে চিঠি দিয়ে তার তথ্য নেয়া হবে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দিয়ে তাদের নারী নেতৃত্বের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিল। ওই সময় চিঠি দিয়ে বেশিরভাগ দলগুলো তাদের অবস্থা জানানোর পাশাপাশি ২০২০ সালের মধ্যে শর্ত পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিছু দল। আবার কেউ কেউ সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল।
এদিকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ৩৩ শতাংশ শর্ত পূরণের সময় বাড়াতে নির্বাচন কমিশন আইন সংশোধনী খসড়া করেছে। ওই খসড়ায় নারী নেতৃত্বের ৩৩ শতাংশ নিশ্চিত করার সময় ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
দ্বৈত ভোটারের শুনানি মাঠ পর্যায়ে
অশোক দেবনাথ আরও জানান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা এবং বিকল্পভাবে নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বৈঠকে মাঠ পর্যায়ে কমিটি করে শুনানি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেকে না বুঝে সরল বিশ্বাসে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। আবার অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়েছে। এ জন্য মাঠ প্রশাসন থেকে কমিশন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবে। সরল বিশ্বাসে কেউ দ্বৈত ভোটার হলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। আর অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ ভোটার হলে ওই কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
এইচএস/এমএসএইচ/জিকেএস