মাশরাফির ব্যাটিং নৈপুণ্যে জয় পেলো কুমিল্লা


প্রকাশিত: ১১:৪৪ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং মারলেন স্যামুয়েলসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নিয়ে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। এই দুই ব্যাটসম্যান চলতি আসরের প্রথম শতরানের জুটি গড়লে সাত উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় নবাগত দলটি।

চিটাগাং ভাইকিংসের দেয়া ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ভিক্টরিয়ান্স শিবিরে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ আমির। ইমরুল কায়েসকে মিড অফে তামিমের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান এই পাকিস্তানি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লিটন দাসকে জিয়াউর রহমানের ক্যাচে পরিণত করেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরা এই পেসার। চার নম্বরে নেমে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে কিছুটা চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন শুভাগত হোম। তবে শফিউলের বলে দিলশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৩০ রান করেন শুভাগত। ১৬ বলে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করে তিনি।

শুভাগত ফিরে গেলে মাঠে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। পাঁচ নাম্বারে নেমে মারলেন স্যামুয়েলসকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ দলের অধিয়ানক। চলতি আসরে প্রথম শতরানের জুটি উপহার দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতেই তিন উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ভিক্টরিয়ান্স।

শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন মাশরাফি। মাত্র ৩২ বলে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন এই টাইগার। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন স্যামুয়েলস। ৫২ বলে ৮টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন এই ক্যরাবিয়ান। ভাইকিংসের পক্ষে ২৭ রানে ২টি উইকেট নেন আমির। এছাড়া শফিউল পান ১টি উইকেট।

এর আগে মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় চিটাগাং ভাইকিংস। উদ্বোধনী জুটিতে তিলকারাত্নে দিলশান এবং তামিম ইকবাল ৬৩ রান সংগ্রহ করেন।

ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন আসহার জাইদি। ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি করে ফিরিয়েছেন ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা তিলকারাত্নে দিলশানকে। আউট হবার আগে ২১ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রান করেন।

প্রথম স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের পর ভাইকিংস শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন আসহার জাইদি। লং অফে মাহমুদুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করে তামিমকে ফেরান এই আফগানী। টানা দুই ম্যাচে অর্ধশত তুলে নেয়ার পর এদিন ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৩১ বলে এই রান করতে ১টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।

জাইদির জোড়া আঘাতের পর চামারা কাপুগেদেরাকে বোল্ড করে কুমিল্লাকে তৃতীয় সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর তরুণ ইয়াসির আলীকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয়।

দলীয় ১২৩ রানে আঘাত হানেন ক্যারাবিয়ান স্পিনার সুনীল নারাইন। তরুণ ইয়াসির এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে স্ট্যাম্প ভাঙ্গেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। ১৮ বলে ২২ রান করেন ইয়াসির।

এরপর জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় ভাইকিংস। শেষদিকে মাত্র ১৬ বলে ৩৯ রান করেন জিয়া। এই রান করতে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কা মেরে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া এনামুল হক বিজয় ৩০ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন আসহার জাইদি। এছাড়া মাশরাফি এবং নারাইন ১টি করে উইকেট পান।

আরটি/এমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।