১০ দিনব্যাপী মুজিব চিরন্তনের শেষ দিনে যা থাকছে
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজ শেষ দিন। এদিনের প্রতিপাদ্য ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠান টেলিভিশন, বেতার, অনলাইন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী, প্রথমপর্বে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আলোচনা অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৩০ মিনিটের বিরতি এবং দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বক্তব্য রাখবেন।
এরপর সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য প্রদানের পর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লোগো উন্মোচন করবেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানপর্বে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পরিবেশনায় বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে নবনির্মিত রাগ ‘মৈত্রি’ পরিবেশনা, ‘পিতা দিয়েছে স্বাধীন স্বদেশ, কন্যা দিয়েছে আলো’ শীর্ষক থিমেটিক কোরিওগ্রাফি।
‘বিন্দু থেকে সিন্ধু’ শীর্ষক তিনটি কালজয়ী গান, ঢাক-ঢোলের সমবেত বাদ্য ও কোরিওগ্রাফি সহযোগে ‘বাংলাদেশের গর্জন : আজ শুনুক পুরো বিশ্ব’ এবং সবশেষে ফায়ার ওয়ার্কস ও লেজার শো’র মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
এসইউজে/ইএ/এমএস