ঐতিহাসিক সোনারং জোড়া মঠ


প্রকাশিত: ০৯:২১ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। তেমনি এক নিদর্শন সোনারং জোড়া মঠ। অষ্টাদশ শতাব্দীর স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন এ মঠ। কথিত ইতিহাসে জোড়া মঠ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও মূলত এটি জোড়া মন্দির।

মন্দিরের একটি প্রস্তরলিপি থেকে জানা যায়, সোনারং এলাকার রূপচন্দ্র নামের একজন হিন্দু ব্যক্তি দুই ধাপে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন।

sonarong

এর মধ্যে বড় কালী মন্দিরটি ১৮৪৩ সালে ও ছোট মন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করা হয়। এর মাঝে ছোট মন্দিরটি মূলত শিব মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানা যায়। অন্যদিকে জোড়া মন্দির হলেও দু’টি মন্দিরের উচ্চতা ও স্থাপত্য গঠনে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার। মন্দির দু’টির মূল উপাসনালয় কক্ষের সঙ্গে থাকা বারান্দার দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বড় ও ছোট মন্দির দু’টির বারান্দা যথাক্রমে ১.৯৪ ও ১.৫ মিটার।

sonarong

মন্দিরের সামনে রয়েছে বড় একটি পুকুর। বড় মন্দিরটি তৈরির সময় এ পুকুরটি তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মন্দির দু’টির বাহিরে ও ভেতরে অসাধারণ ও সমসাময়িক কারুকাজে শোভিত। তবে মূল স্থাপত্য সৌন্দর্য্যের মাঝে আনন্দ জাগায় মন্দিরের বিভিন্ন অংশে টিয়া পাখির বাসা। আর সাথে রয়েছে পাখির কলকাকলি।

সোনারং জোড়া মঠটি দেখতে হলে যেতে হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামে।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।