পৌর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে


প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

দেশের ২৩৪ পৌরসভায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর বুধবার ভোটগ্রহণ করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, যাচাই-বাছাই হবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শনিবার এবং রোববার আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর রোববার।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। এসময় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এ বিষয়ে কমিশনাররা বৈঠক করেন।

সিইসি আরো জানান, নতুন আইন অনুযায়ী মেয়র পদের প্রার্থীকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থেকে মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। তবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে আগের মতো নির্দলীয়ভাবে।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক অথবা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাদের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্র থাকতে হবে। কোনো দল একাধিক ব্যক্তিকে মেয়রপদে মনোনয়ন দিলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় ওই দলের সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হবে।

সিইসি আরো জানান, ওই নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৬ জন। আর নারী ভোটার ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০ জন।

৩ হাজার ৫৮২টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। বুথের সংখ্যা ১৯হাজার ১৮৭টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ১৯ হাজার ১৮৭টি।

এসব পৌরসভায় সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৭৩৮টি। সাধারণ ওয়ার্ড ২ হাজার ৯৫২টি। ৩২৩টি পৌরসভার মধ্যে নির্বাচন হবে ২৩৪টি। অন্যগুলো কোনটির মেয়াদ শেষ হয়নি। আবার কোনটা নিয়ে মামলা ও সীমানা জটিলতা রয়েছে।

এজন্য ওইসব পৌরসভায় নির্বাচন এখনই সম্ভব নয় বলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান।

তিনি বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এদের কেউ কোনো পৌরসভার ভোটার হলে ভোট দিতে এলাকায় যেতে পারবেন। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।

সিইসি আরো বলেন, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকছে সংসদ নির্বাচনের মতোই। তবে ১০০ ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে বিধিমালায়। ইতিপূর্বে কেউ মেয়র নির্বাচিত হলে তার ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে না।

এইচএস/জেডএইচ/এআরএস/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।