সাখাওয়াতসহ ৯ জনের অভিযোগ গঠন ২৩ ডিসেম্বর
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাখাওয়াত হোসেন ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম, মো. লুৎফর মোড়ল এবং মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন- সাখাওয়াত হোসেন, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. লুৎফর মোড়ল। বাকি ছয়জন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর। ১২ জন আসামির মধ্যে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মো. আকরাম হোসেন, অজিহার মোড়ল ওরফে ওজিয়ার মোড়ল ও মশিয়ার রহমান।
ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম অসুস্থ থাকায় মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নের্তৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্ব-প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন- আব্দুস শুক্কুর খান এবং আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। মোট ১২ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন। গত ১৬ জুন সাখাওয়াতসহ আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর আগে আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আদালত।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে গত ১৪ জুন শেষ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান। মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩২ জনকে এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।
১৯৯১ সালে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচন করে যশোর-৬ আসন থেকে শাখাওয়াত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। মাওলানা সাখাওয়াত গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ:
অভিযোগ এক. যশোরের কেশবপুর উপজেলার বোগা গ্রামে এক নারীকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ধর্ষণ।
অভিযোগ দুই. একই উপজেলার চিংড়া গ্রামের চাঁদতুল্য গাজী ও তার ছেলে আতিয়ারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যা।
অভিযোগ তিন. কেশবপুরের চিংড়া গ্রামের মো. নুরুদ্দিন মোড়লকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন।
অভিযোগ চার. কেশবপুরের হিজলডাঙার আ. মালেক সরদারকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও খুন।
অভিযোগ পাঁচ. কেশবপুরের মহাদেবপুর গ্রামের মিরন শেখকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ওই গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠন।
এফএইচ/আরএস/এমএস