‘করোনার পর বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করবে জাপান’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমলে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চায় জাপান। রোববার (২১ মার্চ) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গিয়ে এ কথা জানান জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি আইটিও।
এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জাপান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে।
এসময় জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও মাতারবাড়ি প্রকল্পের কাজ চলছে। এটি একটি শিল্প কেন্দ্র হবে এবং এটি বাংলাদেশের ভাগ্য বদলে দেবে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনাও একমত পোষণ করে বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্পটি চালু হলে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল আগামী বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে। মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে জাপানের সহযোগিতায় দ্বিতীয় বৃহত্তম একটি অঞ্চল।
এসময় জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর একটি বার্তা হস্তান্তর করেন। এছাড়া ১৯৭৩ সালে জাপানে জাতির পিতার সফরের ওপর নির্মিত ‘ওয়েলকাম বঙ্গবন্ধু (১৯৭৩)’ শিরোনামে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও হস্তান্তর করেন তিনি।
জাপানে বঙ্গবন্ধুর সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার ছোট বোন রেহানা এবং ছোট ভাই শেখ রাসেল তখন বাবার সঙ্গে ছিলেন। এসময় শেখ হাসিনা বার্তা ও ভিডিও ডকুমেন্টারি পাঠানোর জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এর আগে বিরোধী নেতা হিসেবে ১৯৯০ সালে জাপান সফরের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান তার কাছে স্বপ্নের ভূমি ছিল।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমাদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
এসইউজে/এমআরআর/জেআইএম