হত্যার দায়ে দুই সহোদরের যাবজ্জীবন
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভা নদীর তিন গাঙ্গেরমুখ নামক এলাকায় পাথর ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে পানিতে ফেলে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার দায়ে দুই সহোদরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রোববার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কানাইঘাট উপজেলার সাউদ গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর ও তার ভাই মো. আলমগীর। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৯ অক্টোবর নদী থেকে পাথরবোঝাই নৌকা নিয়ে আসছিলেন কানাইঘাট উপজেলার জুলাই গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে জামিল উদ্দিন ও জহির উদ্দিন। তারা উপজেলার লোভা নদীর তিন গাঙ্গেরমুখ নামক এলাকায় পৌঁছামাত্র জাহাঙ্গীর ও আলমগীর অল্প টাকায় পাথর ক্রয়ের জন্য দরদাম করে। কিন্তু জহির ও তার ভাই জামাল তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এক পর্যায়ে পাথরগুলো জোরপূর্বক নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
এতে বাধা দিলে আলমগীর, জাহাঙ্গীরসহ আরও ৪/৫ জন মিলে জহির উদ্দিনের মাথায় আঘাত করে। এতে জহির পানিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সন্ধ্যায় পাথর ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন মারা যান।
এ ঘটনায় তার ভাই জামিল উদ্দিন বাদী হয়ে ওই দুইজনের নাাম উল্লেখ করে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. হুমায়ুন কবির বাবুল ও আসামিপক্ষে অ্যাড. সৈয়দ মহসিন আলী ছিলেন।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর