সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করেই এগিয়ে যেতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৫ এএম, ১২ মার্চ ২০২১

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে শুধু সরকার নয় দেশের সব নাগরিক ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করেই এগিয়ে যেতে হবে।

একই সঙ্গে সকল জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিপিডি ও অক্সফাম আয়োজিত গণতান্ত্রিক সুশাসনের জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক শাসন ও স্থানীয় উন্নয়ন তৃণমূল প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা শীর্ষক ‘নাগরিক সম্মেলন-২০২১’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিতে হলে সাধারণ মানুষসহ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।

মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই শেখ হাসিনা সরকারের মূল উদ্দেশ্য বলেও জানান তিনি।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের সময় মাথাপিছু আয় ছিল ৮৪ ডলার। বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছরে মাথাপিছু আয় ৮৪ ডলার থেকে ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর দীর্ঘ ২১ বছর অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশের মাথাপিছু আয় ৩২৯ ডলারে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার কারণে মাথাপিছু আয় এখন ২১ শত ডলারে দাঁড়িয়েছে।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে মাথাপিছু আয় সাড়ে ১২ হাজার ডলার দরকার হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সারাবিশ্বের মধ্যে এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকসহ অন্যান্য সূচকে এই অঞ্চলে উদীয়মান রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা প্রণীত পথনকশা অনুযায়ী উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিঙ্ক, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত এবং সিপিডির প্রধান গবেষক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান অংশ নেন। এছাড়াও সারাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা নাগরিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

আইএইচআর/এআরএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।