ফুটপাতের ড্রেনে মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়েছে : মেয়র আতিক
ফুটপাতের নিচে ড্রেনে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিকেলে কচুক্ষেত-ইব্রাহিমপুর খাল এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে বলেছেন- ফুটপাতের নিচে ড্রেনে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। শহরের আনাচে কানাচে প্রচুর ডোবা আছে। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা যে পদ্ধতি এখন অবলম্বন করেছি এটা খুবই কষ্টসাধ্য।’
এর আগে মেয়র মিরপুরের পাইকপাড়া, দক্ষিণ বিশিল গোদাখালি খাল, পালপাড়া ঘাট বেড়িবাঁধ, দারুসসালাম ঈদগাহ মাঠ এলাকা পরিদর্শন করেন। মশক নিধনে সোমবার (৮ মার্চ) থেকে ডিএনসিসিতে ১০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়। এ কর্মসূচি তদারকি করতেই মেয়র এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আগে ফুটপাতের নিচে যে ড্রেন করা হয়েছে, সেখানে একটি টেকনিক্যাল ভুল আছে। এখন থেকে ফুটপাত ও ড্রেন নির্মাণের সময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কীটতত্ত্ববিদদেরকে রাখতে হবে। কিভাবে ফুটপাতের নিচে ড্রেন তৈরি করলে একইসঙ্গে পানি অপসারণ হবে আবার মশার প্রজননও যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যার যার আঙিনায় ডোবা-নালা পরিষ্কার করা হলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আমরা মশক নিধন করি না। এগুলো আমাদের জন্য সম্ভব না। পাবলিক ড্রেন, খাল ইত্যাদি নিয়ে আমরা কাজ করব।’
পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, ‘গতকাল আমি সাগুফতা খালে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখেছি পয়োনিষ্কাশন লাইন খালের ভিতরে। এখানে একটা চ্যালেঞ্জ আমি দেখেছি। গতকাল সকালে আপনারা দেখেছেন ফগিং করেছি ফুটপাথের নিচে ড্রেনে। কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে বলেছেন- ফুটপাতের নিচে ড্রেনে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখব এই ১০ দিনের অভিযান শেষে কি ফল দাঁড়ায়। থার্ড পার্টির কীটতত্ত্ববিদরা আমাকে জানাবে কি কি ভুল হয়েছে। আমি ভুলগুলো আপনাদেরকে জানাব। এগুলো লুকানোর কিছু নেই।’
মেয়র বলেন, ‘আমরা কীটনাশকের পরিমাণ (ডোজিং) নিয়ে চিন্তা করছি। অনেক ক্ষেত্রে মশা নক ডাউন হচ্ছে না। ডোজিং বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলাপ করছি। এই অভিযান শেষ হলে মশক নিধনকর্মীদেরকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’
এমএমএ/এএএইচ/জেআইএম