চার মাসে ১ লাখ ৬৬ হাজার এনআইডির আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে (প্রায় চার মাস) দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন চেয়ে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৮টি অনিষ্পন্ন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সবগুলো আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে ৭ মার্চ চিঠি দেন ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর। তার নির্দেশনায় এনআইডি সংশোধন চেয়ে অনিষ্পন্ন ক, খ ও গ–এই তিন ক্যাটাগরির আবেদনগুলো নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইসির ২৫ জানুয়ারির তথ্যানুযায়ী, ‘ক’ ক্যাটাগরিতে ৫৩ হাজার ৬৯৬টি, ‘খ’ ক্যাটাগরিতে ৪৩ হাজার ৭৭৩টি, ‘গ’ ক্যাটাগরিতে ৬৯ হাজার ৪৯টি এবং ‘ঘ’ ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ২৪৬টি অনিষ্পন্ন আবেদন ঝুলে আছে।
‘ঘ’ ক্যাটাগরিসহ এনআইডি সংশোধন চেয়ে মোট অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৪টি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার কল এবং এসএমএস করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের ডিজির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনগুলোর মধ্যে ক, খ ও গ ক্যাটাগরির আবেদনগুলো নিষ্পত্তির জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ জেলা অথবা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
তাতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ১০টি অঞ্চলে ক, খ ও গ – এই তিন ক্যাটাগরিতে বিপুল সংখ্যক সংশোধনের আবেদন দীর্ঘদিন যাবত অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত আগত অনিষ্পন্ন সংশোধন আবেদনগুলোর মধ্যে এই তিন ক্যাটাগরির অনিষ্পন্ন আবেদনগুলো আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করার জন্য নিষ্পত্তিকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় দায়িত্ব সম্পন্ন করতে হবে। ছকের মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির ১৫ কার্যদিবস ব্যবধানে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা অঞ্চল ও ক্যাটাগরি (জেলা, থানা, উপজেলা) ভিত্তিক তথ্য প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সব থানা, উপজেলা ও জ্যেষ্ঠ জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা তার দায়িত্ব প্রাপ্ত ‘ক’ ও ‘খ’ ক্যাটাগরির সব আবেদন নিষ্পত্তি করতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেবেন।
আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ছক অনুযায়ী অঞ্চল ও ক্যাটাগরি (জেলা, থানা, উপজেলা) ভিত্তিক নিষ্পন্ন ও অনিষ্পন্ন আবেদনগুলোর সমন্বিত রিপোর্ট (জেলা, থানা ও উপজেলা রিপোর্টের কপি সংযুক্তকরণসহ) উপ-পরিচালক, (জাতীয় পরিচয়পত্র) (ডিডি-এনআইডি) অভ্যন্তরীণভাবে দেয়ার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয় মহাপরিচালকের নির্দেশে।
পিডি/এসএস/জিকেএস