সবকিছুর বিনিময়ে কাপটা চান মেসি
একের পর এক ব্যক্তিগত অর্জনের মালা গেঁথেছেন কত! হেন ট্রফি নেই যেটা তিনি জেতেননি। তবু লিওনেল মেসিকে অপ্রাপ্তির বেদনা কুরে কুরে খায়। কারণ দেশের হয়ে বিশ্বকাপটাই যে জেতা হয়নি এখনো। তবে সেই ট্রফিতে প্রথম স্পর্শ থেকে খুব একটা দূরেও নেই তিনি। আজ ফাইনালে জার্মানিকে হারালেই...। স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টাইন এ ফুটবল জাদুকর তাঁর স্পনসর অ্যাডিডাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, নিজের সব রেকর্ড বিসর্জন দিয়ে হলেও মারাকানায় আজ চূড়ান্ত সাফল্যের ফুল ফোটাতে চান।
প্রশ্ন : যদি জানতে চাই, এই মুহূর্তে কোনো অপূর্ণতা আপনি অনুভব করছেন কিনা। যদি করে থাকেন, তাহলে সেটা কিসের অভাব?
লিওনেল মেসি : কিসের আবার! অবশ্যই একটা বিশ্বকাপের অভাব অনুভব করি আমি। আজ অবধি এই ট্রফিটা তো কখনো ছুঁয়েই দেখা হলো না। এটা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কী চাওয়ার থাকতে পারে আমার!
প্রশ্ন : চাওয়া-পাওয়ার দূরত্বও তো এখন আর খুব বেশি নয়। আর একটা ধাপ পেরোলেই তো...।
মেসি : হ্যাঁ, আর একটা ধাপ পেরোলেই আমার স্বপ্নটা সত্যি হবে। এ স্বপ্নপূরণের জন্য আমি সব কিছুই ছাড়তে রাজি।
প্রশ্ন : ‘সব কিছু’ বলতে কী বোঝাতে চাইছেন?
মেসি : নিজের যত ব্যক্তিগত রেকর্ড বা অর্জন আছে...সব, সব, সব। সব রেকর্ডের বিনিময়ে হলেও বিশ্বকাপটা আমার চাই।
প্রশ্ন : চারবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। বিশ্বকাপ জেতাকে তাহলে আপনি এর চেয়েও বড় কিছু মনে করেন।
মেসি : অবশ্যই। ব্যালন ডি’অরের চেয়ে বিশ্বকাপ জয়কেই এগিয়ে রাখি আমি। বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে আর কোনো কিছুরই তুলনা চলতে পারে না।
প্রশ্ন : এ স্বপ্ন তো আপনি শৈশব থেকেই দেখে আসছেন।
মেসি : একজন খেলোয়াড়ের কাছে বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে বড় আর কিছুই হতে পারে না। এটা এমন একটা চূড়া, যা ছোঁয়ার স্বপ্ন সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। এই স্বপ্নটা কখনোই বিবর্ণ হওয়ার নয়।
প্রশ্ন : স্বপ্নপূরণের খুব কাছে দাঁড়িয়ে আপনি। ধরে নিচ্ছি আপনি বিশ্বকাপ জিতেই গেছেন। অনুভূতিটা কেমন হবে?
মেসি : একই প্রশ্ন আমার বার্সেলোনা সতীর্থদেরও করেছিলাম। যারা স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে। জাভি, ইনিয়েস্তা ও পিকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার অনুভূতিটা কেমন। ওদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই জবাব পেয়েছি যে এটা ব্যাখ্যাতীত এক ব্যাপার। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আমরা সব কিছুই করতে প্রস্তুত।